ঢাবিতে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মিলন অনুষ্ঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও অপরাজেয় বাংলা’র আয়োজনে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রুখবো আমরা জঙ্গিবাদ’ শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মিলন ও সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপকড. মো. আখতারুজ্জামান।

Post MIddle

স্বাগত বক্তব্য দেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অপরাজেয় বাংলার চেয়ারম্যান ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। ইসলাম ধর্মে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, হিন্দু ধর্মে পরধর্ম সহিষ্ণুতা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ, ‘বুদ্ধের অহিংস বাণী ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনো বোধি ভিক্ষু, খৃস্টের বাণীতে পরমত সহিষ্ণুতা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফাদার বেঞ্জামিন ডি কস্তা।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন মানুষের তিনটি পরিচয়, প্রথম পরিচয় মনুষ্যত্বের, দ্বিতীয় জাতিসত্তার এবং তৃতীয়টি ধর্র্মের। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এই নীতিতে অটল থাকলে ধর্মীয় সম্প্রীতি ঠিক থাকবে। দেশজ সংস্কৃতির সাথে ধর্মের কোন বিরোধ নেই। ধর্ম, দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে চাইলে জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে হবে এবং এব্যাপারে সব ধর্মের লোকদের আরও সক্রিয় হতে হবে। পরিশেষে তিনি ইমাম, পাদ্রী, ভিক্ষু এবং পুরোহিতদের ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা মানবতার সামনে তুলে ধরার আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ এই সময়ে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন- ধর্ম মানে বিশ্বাস। এই বিশ্বাস যার যার ব্যক্তিগত এবং এখানে জাহির করার কিছু নেই। কোন ধর্মই মানুষকে মন্দ কাজ করতে বলে না। ভাল মানুষ হওয়াটাই মূখ্য বিষয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত ছাড়াও লালন গীতি, ইসলামী সংগীত, গজল, মুক্তিযুদ্ধের গান, ভজন ও কীর্তন, গম্ভীরা, বৌদ্ধ সংগীত, খ্রিস্ট সংগীত ও নজরুল গীতি পরিবেশন করে ড. লীনা তাপসী খান, ড. বেলু রানী বড়–য়া, টুম্পা সমদ্দার, মো. এনামুল হক, প্রিয়াংকা গোপ, দেব প্রসাদ দাঁ, মোহাম্মদ শোয়েব, ইউনুসুর রহমান, হীরক সরদার ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের শিল্পীবৃন্দ।

পছন্দের আরো পোস্ট