চবির সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ জ্ঞান ও ন্যায় ভিত্তিক সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, শিক্ষা সমাজের আত্মা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে জ্ঞানদানের কেন্দ্রবিন্দু যা সমাজ বদলের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী হাতিয়ার।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘বর্তমান সরকার শিক্ষার বিষয়ে অগ্রাধিকার প্রদান করেছে এবং ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়নের জন্য সকল ক্ষেত্রে মানসম্মত ও তথ্য প্রযুুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।

প্রতিষ্ঠার অর্ধশত বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন জ্ঞান বিতরণ এবং প্রাজ্ঞ ও প্রতিভাবান ব্যক্তিত্বের জন্ম দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব সম্প্রদায়ের অংশে পরিণত হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘সিইউ আমাদের গৌরবময় ইতিহাস ও সংস্কৃতির অংশ এবং গবেষণা, গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা ও সৃষ্টিশীল জ্ঞানের মাধ্যমে এটি জ্ঞানের এক সুবিশাল ভান্ডার গড়ে তুলেছে।’ তিনি আরো বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এক বিরাট গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে।

Post MIddle

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিইউ’র ভিসি অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। সুবর্ণজয়ন্তী বক্তৃতা করেন ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। এর আগে সকালে সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিইউ’র ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. কামরুল হুদা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ওয়াশেকা আয়শা খান এমপি, সাবেক সিইউ ভিসি অধ্যাপক এজেএম নূরুদ্দিন চৌধুরী, সিইউ প্রোভিসি অধ্যাপক শিরিন আখতার, সিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং সাবেক সিইউ চাকসু’র সহসভাপতি এসএম ফজলুল হক।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষাবিদ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও চাকসু নেতৃবৃন্দ। সরকারের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত সিইউ’র সাবেক শিক্ষার্থী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্টগণও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এবং বর্তমান প্রায় ৩৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী বর্ণাঢ্য বেলুন, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। (বাসস)#

পছন্দের আরো পোস্ট