জেএসসি পরীক্ষায় ভালো করতে হলে

exam2প্রিয় শিক্ষার্থীরা, পরীক্ষার শুরুর অন্তিমক্ষনে নিশ্চয় তোমরা ভীষন টেনশানে আছো। টেনশান হওয়াটাই স্বাভাবিক । তবে কাজের মধ্যে থাকলে টেনশান পালাবে। পরীক্ষার আগের দিন নতুন করে কিছু মুখস্ত না করে বরং পূর্বের পড়াগুলো ভালভাবে রিভিশন দেয়া উচিত। সময়মত গোসল ও খাবার খেতে হবে। দুপুরে খাবার পর দুই ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিলে ভালো হয়।
Post MIddle
ঘুম থেকে উঠে পুরাতন পড়াগুলো রিভিশন দিলে খুব দ্রুত আয়ত্ত্বে চলে আসবে। সন্ধার সময় আধাঘণ্টা পড়াশোনার বিরতি দিতে হবে। এরপর টানা দুই ঘন্টা পড়তে হবে। তারপর রাতের খাবার খেতে হবে। রাতের খাবার পর চোখে ঘুম ঘুম ভাব আসতে পারে। এক্ষেত্রে পনের মিনিট নিজের ইচ্ছেমত কোন কাজ করা যেতে পারে। যেমন টিভি দেখা, বাড়ির মানুষের সাথে কথা বলা, চা খওয়া ইত্যাদি। তবে মনে রাখতে হবে সময় মাত্র পনের মিনিট। এরপর রাত দশটা অথবা এগারোটা পর্যন্ত সারাদিনের পড়া পুনারায় রিভিশন দিয়ে ঘুমিয়ে পড়তে হবে।
মনে রাখতে হবে পরীক্ষার আগের দিন রাতজাগা মোটেও উচিত নয়। বরং তারাতারি ঘুমিয়ে ভোরে উঠে পড়াশোনা করা উত্তম। ভোরবেলার পড়া অনেকক্ষণ মনে থাকে। পরীক্ষার পূর্বে যথাসময়ে পরিক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। সকাল আঁটটার মধ্যে রিভিশন শেষ করে ফেলতে হবে। এরপর গোসল করে খাবার খেয়ে পরিক্ষা কেন্দ্রে যেতে হবে।
মনে রাখতে হবে, না খেয়ে পরিক্ষা কেন্দ্রে গেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। এতে পরিক্ষা খারাপ হতে পারে। প্রতিটি পরিক্ষাতেই কিছুটা সময় অর্থাৎ আধাঘণ্টা পূর্বেই পরিক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া উচিত। খুব ঠাণ্ডা মাথায় সিট খুঁজে বের করতে হবে। মোটেও উদ্বিগ্ন হওয়া যাবে না। সিট খুঁজে না পেলে শিক্ষকদের সাহায্য নিতে হবে। পরীক্ষা দেয়ার দায়িত্ব শিক্ষার্থীর আর পরীক্ষা নেয়ার দায়িত্ব শিক্ষকের। তাই জড়তা, সংকোচ কাটিয়ে শিক্ষকের সাহায্য নিতে হবে।
পরীক্ষার খাতা পাওয়ার পর খুব সাবধানে ওএমআর সিট বলপয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করতে হবে। বৃত্ত ভরাটের ঘরের উপরের সংখ্যাগুলো ইংরেজিতে লেখাই ভালো। ওএমআর সিটের পরের পেজে পরিস্কারভাবে তথ্যগুলো লিখতে হবে। খাতার ভেতরের প্রতিটি পেজে এইস বি অথবা টু বি পেন্সিল দিয়ে মার্জিন দিতে হবে। কোন লেখা শব্দ অথবা বাক্য ভুল হলে ঘষামাজা না করে এক টান দিয়ে কেটে আবার নতুন করে লিখতে হবে। এতে পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি পাবে। মনেরেখ পরীক্ষার খাতা সাদামাঠা থাকলেই ভালো দেখায়। কালার পেন ব্যবহার না করাই ভালো। পয়েন্টের নিচে আন্ডারলাইন করার জন্য নীল কালির বলপয়েন্ট কলম ব্যবহার করা যেতে পারে।
untitled-2অতিরিক্ত পেজ ব্যবহার করলে অবশ্যই প্রতিটি পেজের উপরে সিরিয়াল নাম্বার দেয়া উচিত। নতুবা খাতা সেলাইয়ের সময় এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। রিভিশান দেয়ার জন্য অন্তত পাঁচ মিনিট সময় হাতে রাখতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষার পূর্ব রাতে প্রয়োজনীয় পরিক্ষা উপকরণ যেমন প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশান কার্ড, কলম, পেন্সিল, স্কেল, ইত্যাদি গুছিয়ে রাখতে হবে।
যে পরীক্ষা শেষ করলে সে বিষয়টি কোন উত্তর ভুল না ঠিক লিখেছ তা চিন্তা না করে পরবর্তী বিষয়ের পড়া শুরু করতে হবে। এসব চিন্তা করলে পরবর্তী পরীক্ষায় খারাপ প্রভাব পড়বে। মনে রাখবে ভালো পরীক্ষা দিতে হলে আত্ত্বঃবিশ্বাস বাড়াতে হবে। তুমি পারবে, নিশ্চয় পারবে, তোমাকে পারতেই হবে। তোমাদের প্রতি শুভকামনা রইলো। 
 
 
লেখকঃ মোস্তাফিজুর রহমান শামীম, প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, ভেড়ামারা কলেজ।
পছন্দের আরো পোস্ট