দুই ক্রাশ মানবের গল্প

13528933_2039609599597446_5389201672866631535_nওয়াও! শব্দটি মনের অজান্তেই বের হয়ে যায় মুখ থেকে। কি মিস্টি হাসি? টানা টানা চোখ। মাথাবড়া চুল। দেখলেই অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ওরা। হ্যাঁ ক্যাম্পাসে ক্রাশ মানব হিসেবে পরিচিত নিলয় মামুন, সাইফুল ইসলামের কথাই বলছি। তবে এ ক্রাশ মানবদের সম্পার্কে জানার আগে একটু জেনে নেই ক্রাশ কি?

Post MIddle

বিষেশজ্ঞদের মতে, কাউকে প্রথম দেখার পর থেকে তার প্রতি অদ্ভুত একধরণের আকর্ষণ বোধ কাজ করাকেই ক্রাশ বলে। এই সময়টাতে একধরণের বিশেষ ভালো লাগা কাজ করে। সব কিছুই তখন ভালো লাগতে শুরু করে। যার ওপর এই ক্রাশ তাকে নিয়েই ভাবতে ভালো লাগে সবসময়।

এই সময়টাতে তাদের মনে অদ্ভুত মজার কিছু কান্ড ঘটে থাকে। এই কান্ডগুলো প্রায় সকলেরই নজরে পড়ে যায়। কিন্তু মনের অজান্তেই সবাই এই কাজগুলো করেন। কারণ তিনি তখন আসলেই অন্য এক জগতে বসবাস করতে থাকেন।

আবার ফিরে যাই তাদের কাছে। নিলয়, ছেলেটি বেশ সাদামাটা। বাড়ি লক্ষিপুর জেলার রায়পুর থানায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৪র্থ বর্ষে পড়াশুনা তার। পাশাপাশি সাংবাদিকতা করেন দেশের বহুল জনপ্রিয় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায়। সে সূত্রে বিভিন্ন স্থানে তার পদচারণা। পরিপাটি চলাপেরা। এসবই তার প্রতি আকর্ষণের মূল। মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় এ মুখটি বেশ প্রাণচঞ্চল। ভাল ফিচারও লেখেন তিনি। তাইতো জাবির ক্রাশ পেজে কোন কোন মেয়েরা প্রায় মনের ভালবাসা জড়ানো পোস্ট দিয়ে থাকেন তাকে নিয়ে। কিন্তু তার যে সিরিয়াল নেই সেকথা হয়তো তারা জানেনা।

এইতো সেইদিন এক মেয়ে লেখলো, মাঝে মাঝে আমার মনে হয় কি জান? আমি যদি ভাল শিল্পি হতাম। তাহলে শুধুই তোমার ছবি আঁকতাম। তুমি হাসছো, বইয়ের পাতায় ডুবে আছো এসব আরকি। আচ্ছা তুমি হাসলে তোমার গালে ছোট্ট একটা টোল পড়ে। তখন বেশ অপরূপ লাগে তোমায়। একদিন কোন হাসির বই পড়ে অনেক হেসো আমি দেখবো।

তবে হ্যাঁ.. তোমার সত্যিই কোনো আন্দাজ জ্ঞান নেই। সেদিন আমি ইচ্ছে করে তোমার পাশ দিয়ে যাবার সময় হাতের কলমটা ফেলে দিলাম। তুমি তাকিয়েও দেখলেনা। এত অহংকার তোমার? একদিন একটু তাকিয়ে দেখবা। তোমার মত মোহাচ্ছন্ন সুন্দর না হলেও আমি কিন্তু দেখতে ততটা খারাপ নই।

আরেক ক্রাশ মানব সাইফুল ইসলাম। ফেসবুকে সবসময় সচল থাকেন তিনি। আর একটি ছবি পোস্ট দিলেই মেয়েদের লাইক আর কমেন্ট যেন হুমড়ি খেয়ে পরে তারওপর। পড়াশুনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪র্থ বর্ষে। ছাত্র হিসেবেও রয়েছে তার বেশ শুনাম। পাশাপাশি সাংবাদিকতা করছেন দেশের বহুল জনপ্রিয় ইংরেজী দৈনিক নিউ এইজ পত্রিকায়। মাঝে মাঝে ফিচারও লেখেন তিনি। তাকে নিয়েও প্রায় ক্রাশ আসে বিভিন্ন পেজে।

এইতো সেইদিন এক মেয়ে লেখলো , আচ্ছা সত্যি করে বলোতো। আমি যে তোমাকে এমনভাবে প্রতিদিন দেখি। তুমি কী সেটা বোঝোনা? নাকি বুঝেও দাম্ভিকতায় নিজেকে ঢেকে রাখো? তুমি কি অনেক রাগী? না সেদিন নিজর্ন লাইব্রেরীতে তোমার পড়ার কর্যক্রমের মাঝখানে আমার মুঠোফোনটা বেজে উঠল। আর তখন তুমি সমুদ্রের মত চোখগুলো দিয়ে আমার দিকে তাকালে। আর তাতেই আমার পেটের মাঝখানে জড়ো হাওয়া বয়ে গেল। আমি কাঁপা গলায় ‘সরি’ শব্দটা উচ্চারন করেই মুঠোফোনটাকে বোবা করে দিলাম। তারপর তুমি পড়া কার্যক্রমে ডুবে গেলে। আর আমি তোমার চোখের গভীরতায় এখনও আটকে আছি। এত গভীর দৃষ্টি তোমর ঠিক যেন হিওপেট্রা ।

আর শুনো রোজ রোজ সেই দক্ষিনের জানালার পাশের সিটটায় বসবেনা। ওদিক থেকে দুপুরের রাগী রোদ্র্য উঁকি মারে। আর তখন তোমার ঘামভরা শুভ্র গাল দেখে আমার ভিষণ কষ্ট হয়।

আর হ্যাঁ একটু সতর্ক হও। কোনদিন যদি কোন মেয়ে আমার মত এমনি গোল চোখে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তখন খানিকটা রেগে তার কাছে গিয়ে ধমক দিবা। বুঝছো? এতটা বেখেয়ালি হলে চলবে না।

পছন্দের আরো পোস্ট