ঢাবিতে স্মরণসভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ (১৩ আগস্ট, ২০১৬) শনিবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পার্শ্বস্থ সড়ক দুর্ঘটনা স্মৃতিস্থাপন চত্বরে অকালপ্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীর স্মরণে ‘কাগজের ফুল’ শীর্ষক শিরোনামে এক স্মরণসভা, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেG

Post MIddle

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সম্মানিত সঞ্চালক অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অধ্যাপক এ যে এম শফিউল আলম ভুইঁয়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও ফিল্ম বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমদ হালিম এবং বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ও শিল্প সমালোচক মঈনুদ্দীন খালেদ। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি আলী হায়দার সাগর এবং সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসাদুল্লাহ চিশতী কানন।

১৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত আয়োজনের শুরুতেই ছিল প্রয়াত এই দুই চলচ্চিত্রকর্মীর স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভা। সেখানে বক্তারা তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের স্মৃতিচারণ এবং চলচ্চিত্রজগতে তাদের অবদান নিয়ে আলোচনা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিনই ঝরে যাচ্ছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মত ব্যক্তিত্বের অকালপ্রয়াণ আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি’। সড়ক দুর্ঘটনা রোধের নিমিত্তে সচেতন জনমত গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তিনি।

স্মরণসভা শেষে প্রদর্শিত হয় তারেক মাসুদ নির্মিত রানওয়ে, ফেরা ও নরসুন্দরের মত নন্দিত চলচ্চিত্রকর্ম। এছাড়াও একই সাথে প্রদর্শিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ ও তারেক মাসুদ সম্পর্কিত ছবিগুলি নিয়ে নির্মিত স্লাইড শো, ‘বিনি সুতোয় গাঁথা’।

উল্লেখ্য, তারেক মাসুদ(১৯৫৬-২০১১) একাধারে ছিলেন স্বাধীন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, লেখক ও গীতিকার। তাঁর নির্মিত ফিচার চলচ্চিত্র মাটির ময়না(২০০২) এর জন্য তিনি কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডিরেক্টর ফোর্টনাইটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। তার অন্যান্য বিখ্যাত চলচ্চিত্রের মাঝে আছে অন্তর্যাত্রা(২০০৬), আদম সুরত(১৯৬৯), মাটির ময়না(২০০২), মুক্তির গান(১৯৯৬) ও রানওয়ে(২০১০)।

গুণী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর ‘কাগজের ফুল’ নামক চলচ্চিত্রের জন্য লোকেশন চিত্রায়নের কাজ থেকে ফেরার পথে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী,টেলিভিশন সাংবাদিকতার পথিকৃত ও বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীর(আশফাক মুনীর চৌধুরী) সহ আরো তিনজনের মৃত্যু হয়।#

পছন্দের আরো পোস্ট