ড্যাফোডিলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সম্মেলন

ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক এই ত্রি-মাত্রিক সম্পর্ককে আরো বেশী শক্তিশালী ও দৃঢ় করার লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শুক্রবার (০৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে “আর্ট অব পেরেন্টস্ ডে” শীর্ষক এক কর্মসূচীর আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ডেভেলাপমন্টে সেন্টার ‘আর্ট অব লিভিং’ কোর্সের গুরুত্বপূর্ন অংশ হিসেবে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান। ক্যারিয়ার ডেভেলাপমন্টে সেন্টারের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী- শিক্ষক ও অভিভাবক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের অনুভূতি তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান বলেন, একমাত্র ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক এই ত্রি-মাত্রিক সম্পর্কের শক্তিশালী ও দৃঢ় বন্ধনের মাধ্যমেই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং সে লক্ষ্যেই শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ উন্নয়নে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আজ থেকে চার বছর আগে ‘আর্ট অব লিভিং’ কোর্স চালু করেছে যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত সময়োপযোগী ও কার্যকর। তিনি বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শুরু থেকেই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আসছে এবং জঙ্গিবাদ দমনে সরকার আইন প্রয়োগকারি সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সহযোগিতার পাশাপাশি যা যা করা সম্ভব প্রয়োজনে তাই করবে।

Post MIddle

তিনি আরো বলেন, ছাত্র-শিক্ষকরাই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করবে এবং অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে যেন তাদের সন্তানরা বিপথে চলে না যায়। তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আরও বেশী সচেতন ও বন্ধুসুলভ হওয়ার পরামর্শ দেন। সহপাঠীদেরকেও নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও পারস্পরিক সহযোগীতা বজায় রেখে সচেতনভাবে জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে এবং কোন সহপাঠী যেন এসব ঘৃনিত কর্মকান্ডে জড়াতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ তাদের চিন্তা-চেতনা ও আবেগ তুলে ধরেন এবং এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে তাদের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করার সুযোগ প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূয়শী প্রশংসা করেন। এধরনের আয়োজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়তা বৃদ্ধিতে এবং এক অপরকে জানতে সহায়তা করে এবং পরস্পরের কাছে পরস্পরের চাওয়া-পাওয়ার সুযোগ তৈরী করে দেয় বলে অভিভাবকরা মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা প্রতিজ্ঞা করে যে, তারা কখনো তাদের পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে না বরং পিতা-মাতা ও সন্তানের অকৃত্রিম ভালবাসা ও সম্পর্ককে আজীবন হৃদয়ে লালন করবে। ##

পছন্দের আরো পোস্ট