চাকরি মেলায় দেড় হাজার প্রার্থীকে চাকরির নিশ্চয়তা

কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে চাকরি প্রদানের নিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে শেষ হলো চাকরি মেলা-২০১৬। দেশের স্বনামধন্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, প্রাণ আরএফএল, বেঙ্গল গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ ও হা-মীম গ্রুপ প্রভৃতি। শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গণসাক্ষরতা অভিযান ও স্টেপ-কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর যৌথভাবে দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে। মেলার সহায়তায় ছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। সকালে এ চাকরি মেলার উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন।

 

মেলা আয়োজকরা জানান, মেলায় ২৬টি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। দেশের সরকারি-বেসরকারি কারিগরি ট্রেনিং সেন্টারের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন মেলায়। গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক তপন কুমার জানান, মেলায় অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ১ হাজার ২০০’রও বেশি অংশগ্রহণকারীর তাৎক্ষণিক চাকরি নিশ্চিত করেছে অংশগ্রহণকারী চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া, আরও কয়েকশ’ জনকে চাকরি দেয়া (অপেক্ষমাণ রয়েছে) হবে বলে জানা গেছে। তারা আশা করছেন, এ মেলার মাধ্যমে ১ হাজার ৫০০ চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দেয়া হবে।

 

এদিকে, মেলা উপলক্ষে একই সময়ে একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয় ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাস্তরে : বিদ্যমান ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারে বক্তারা বলেন, এ ধরনের মেলার মাধ্যমে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি সেতুবন্ধন তৈরি হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচিত এ ধরনের মেলার আয়োজন করা। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে হবে এবং কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে দক্ষ লোক তৈরি করতে হবে। বর্তমানে দেশে বেকার লোকের অভাব নেই কিন্তু তাদের কাজ দেয়া যাচ্ছে না। কারণ দক্ষ লোকের অভাব রয়েছে। এ সময় তিনি আলাদা কারিগরি মন্ত্রণালয় এবং বোর্ড করার কথা উল্লেখ করেন।

 

Post MIddle

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বেকার লোকের কর্মসংস্থান না হলে এ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যাবে না। যেহেতু বর্তমানে এদেশ তার যৌবনকাল অতিক্রম করছে, তাই সময় এসেছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকে আরও বিস্তৃত করার। আর এর সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, কয়েক বছর ধরে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম ও কারিগরি শিক্ষায় যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এমন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি যোগসূত্র স্থাপন করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালেও একই ধরনের একটি চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে ৭০০ প্রার্থীর চাকরি হয়েছিল।

 

গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক তপন কুমারের পরিচালনায় সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিকেটিটিসি) অধ্যক্ষ ড. প্রকৌশলী মোঃ সাকাওয়াৎ আলী। বক্তব্য রাখেন ব্যুরো অব নন-ফরমাল এডুকেশনের মহাপরিচালক মোঃ রুহুল আমিন সরকার, স্টেপের প্রকল্প পরিচালক মোঃ ইমরান প্রমুখ।#

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট