ড্যাফোডিলে প্রতিবন্ধীদের উচ্চশিক্ষা বিষয়ে সেমিনার

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিভাগ এবং ইনিষ্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স সেলের যৌথ আয়োজনে “প্রতিবন্ধীদের জন্য উচ্চ শিক্ষা” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

 

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এলাইড হেলথ সাইন্স অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আহমেদ ইসমাইল মোস্তফা।

 

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব আনিসুর রহমান প্রধান বক্তা হিসেবে প্রতিবন্ধিদের সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়ের উপড় আলোকপাত করেন। সেমিনারে সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিএনভিএস ইনিস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এর সহযোগী অধ্যাপক ড. যশোদা দূর্গ, ভারতের টাটা কন্সাল্টেন্সি সার্ভিসেস এর সাবেক সহ-সভাপতি কমান্ডার অধ্যাপক ভুশান দেওয়ান।

 

বক্তব্য রাখেন ল্যাগুনার লাইসিয়াম অব ফিলিপাইনস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ক্যান্ডিডো এম. প্যারেজ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ শাহজাহান, ভারতের হ্যারিটেজ ইনিষ্টিটিউট অব টেকনোলজির মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সপ্তপর্ণা রায়, শ্রীলংকার দিলিপা এম এংগামেজ ওয়েজ, ভূটানের রয়েল ইউনিভার্সিটির প্রভাষক নাওয়াং ইয়াংদেন। সেমিনারে সেশন চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিআইইউ আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলী।

 

Post MIddle

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান বলেন, অভিভাবকদের উচিৎ তাদের প্রতিবন্ধি সন্তানদের সম্ভাবনাগুলোকে আরও উৎসাহিত করা। সরকারি এবং বেসরকারি সেক্টর উভয়েরই হাতে হাত রেখে প্রতিবন্ধি কর্মীবৃন্ধদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সর্বদা এসব বিষয়ে দৃষ্টি রাখে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে একটি সিলেবাস জমা দেওয়া হয়েছে।

 

অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, অভিভাবকদের এসব বিষয়ে লজ্জা না করে বরং এ ব্যাপারটি আরও পেশাগত ভাবে দেখা এবং শারিরিক অসুবিধা কে প্রাধান্য না দিয়ে তাদেরকে উচ্চশিক্ষা অর্জনে সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। তিনি পরামর্শ দেন শারীরিক প্রতিবন্ধিদের উচ্চশিক্ষায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সহযোগীতা নিশ্চিত করার এখনই সঠিক সময়।

 

ড. যশোদা দূর্গ বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, অন্ধ গায়কদের জন্য ভর্তুকি প্রকল্প যা দেখে তিনি মনে করেন এটি বাংলাদেশের সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি চমৎকার উদাহরণ যেখানে এসব বিশেষ ব্যক্তিদের উচ্চশিক্ষার জন্য বেসরকারী সংস্থার সহযোগীতা একান্ত প্রয়োজন।

 

বক্তারা বিমসটেক অঞ্চলের অটিষ্টিকদের মাঝে উচ্চশিক্ষা প্রনয়ন এবং বাস্তবায়নের উপড় বিশেষভাবে জোড় দেন এবং এ ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কন্যার ভূমিকার কথা উল্ল্যেখ করেন।##

পছন্দের আরো পোস্ট