পুরোনো ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে চাই

1@পার্থ সারথি সরকার, একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) একজন সফল গ্র্যাজুয়েট । কিছুদিন আগে ভারতের সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি (সার্ক বিশ্ববিদ্যালয়) মাস্টার্স ইন কম্পিউটার সায়েন্স প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষায় পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যে প্রথম হয়ে প্রেসিডেন্ট স্কলারশিপ লাভ করেন । পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ভিতর মাত্র দুজন প্রেসিডেন্ট স্কলারশিপ লাভ করে । অন্যজন ভারতীয় ।

 

সাংবাদিক পরিচয়ে সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে লাজুক ভঙ্গিতে হাসি দেন । কেমন আছেন জানতে চাইলে বলেন,” অসাধারন আছি!!

 

খুলনা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, খুলনার সুন্দরবন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে । ব্যবসায়ী বাবার ছোট ছেলে তিনি তাই গর্ব করে বলেন,” আমার বাবা সফল ব্যবসায়ী এবং একজন সফল বাবাও । বড়  ভাই হাবিপ্রবির টেলিকমিউনিকেশন্স বিভাগের শিক্ষক ।

 

গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন প্রথম শ্রেনিতে প্রথম হয়ে, এর পুরো কৃতিত্ব দেন বাবা -মা ও শিক্ষকদের । বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, -শ্রদ্ধেয় মৃনাল কান্তি বাওয়ালী স্যারের সাহায্যেই স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব হয়েছে । ছাত্র – শিক্ষক বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক না হলে সফলতা অর্জন কর কঠিন হয়ে যায় ।

 

  • বড় ভাইয়ের মতই কি প্রফেশন চান ? -সুপ্ত ইচ্ছা আছে !!

 

-তাহলে কি আমরা ভবিষ্যতে প্রফেসর ড. পার্থ সারথি সরকারের নাম শুনতে পারব ?

 

  • চেষ্টা করে দেখি ।

 

Post MIddle
  • নিজের ক্যাম্পাসেই কী শিক্ষকতা করতে চান ?

 

-অবশ্যই! পুরোনো ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে চাই যদি সু্যোগ পাই, তবে শিক্ষকতার পোষাকে ।

 

স্কলারশিপ পাওয়ার পর প্রথম অনুভূতি কেমন ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, -প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি, দাদা কনফার্ম হয়ে জানানোর পর নিজ চোখে মেইল দেখার পর বিশ্বাস হয় । যার জন্য পুরো বশেমুরবিপ্রবি গর্বিত সেই তিনি ই ভারতে যাচ্ছেন নাকি নিজের অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও!!

 

জুনিয়র দের প্রতি নির্দেশনায় বলেন,” সঠিক ভাবে আগ্রহ জাগাতে হবে, এবং সেই পথে লেগে থাকতে হবে ”

 

  • বয়স মাত্র ৫ বছর । নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বশেমুরবিপ্রবি কে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন ?

 

-সিনেমার একটা ডায়লগ মনে পড়ে গেল , “ক্ষুদ্র বলে উহাকে উপেক্ষা করো না, উহারা বড়ই চতুর ”

 

নতুন হলেও অনেক কম সময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ যে সাফল্য দেখিয়েছে তা সত্যি ঈর্ষণীয় । নতুন অবস্থায় এত কম সময়ে এরকম সাফল্য খুব কম বিশ্ববিদ্যালয় ই দেখাতে পেরেছে । যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয় । প্রতিনিয়ত উন্নতি করে চলেছে ।

 

বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৫ জন ছাত্র সার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান । এটি নিঃসন্দেহে বশেমুরবিপ্রবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের আরেকটি বড় অর্জন ।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট