ঢাবিতে ডিনস্ এ্যাওয়াড পেলো ১২ মেধাবী শিক্ষার্থী

Picture 2২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে বিএস সম্মান পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদভুক্ত ৫টি বিভাগের ১২জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে “ডিনস্ এ্যাওয়ার্ড” প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জন ছাত্র এবং ২জন ছাত্রী এই এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। আজ (১২ মে) বৃহস্পতিবার সকালে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে এ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।

 

ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ ভূইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষদের বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ নিজ নিজ বিভাগের এ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। কৃতি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ছাত্র সৈকত চন্দ্র দে।

 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ডিন সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশে অভিভাবক ও শিক্ষকদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁদেরকে অভিনন্দন জানান। উপাচার্য ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সমানভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিক্ষা একটি দেশের ভিত্তি তৈরি করে। শিক্ষাই সকল সংকটের অবসান ঘটায়। দেশের প্রতিরক্ষা, চিকিৎসা, শিল্প-কারখানা সকল ক্ষেত্রে অগ্রগতির মূখ্য ভূমিকা রাখে শিক্ষা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষানীতি গ্রহণ করে প্রজাতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর থেকে দেশ আর সামনের দিকে এগুতে পারেনি।

 

Post MIddle

উপাচার্য বলেন, ২০১০ সালে শিক্ষানীতি গ্রহণ করার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা নতুনভাবে এগিয়ে চলার পথ তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি উপাচার্য ভালো মানুষ, ভালো প্রকৌশলী, সত্যনিষ্ঠ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে আহ্বান জানান। শুধু একাডেমিক রেজাল্ট দিয়ে দেশের কল্যাণ সাধন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেধাবী গ্র্যাজুয়েটের পাশাপাশি সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করতে চায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ সত্য অন্বেষণ করা- সে চর্চা অব্যাহত রাখা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যত নির্মাণের জন্যই কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সকল ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত থেকে দূরে থেকে ‘শিক্ষাই আলো’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পরিবারে, সমাজে আলোক প্রজ্জ্বলন করে এগিয়ে যেতে হবে। দেশ জাতি তথা আজকের বিশ্ব পল্লীকে উজ্জল করে ভৌগলিক সীমারেখা অতিক্রম করে তোমাদের মেধা ও যোগ্যতাকে প্রজন্মান্তরে আলোকস্পর্শে ছড়িয়ে দিতে হবে।

 

এ্যাওয়ার্ড বিতরণ শেষে অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

এ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন.ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. সাব্বির আখন্দ, মোহাম্মদ নওয়াজ রব্বানী চৌধুরী, জান্নাতুল মাওয়া, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সৈকত চন্দ্র দে, মুহাম্মদ মমিনুর রহমান, মো. আনোয়ারুজ্জামান, মো. লওশান হাবিব, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. আহসানুজ্জামান, মো. মফিজুল ইসলাম, হৃদি হোসেন, সঞ্জয় সাহা এবং মো. মাহমুদুর রহমান।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট