স্কুলছাত্রীর অন্তরঙ্গের গোপন মুহুর্তের ভিডিও মোবাইলে

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার স্বস্তিপুরে দুই সন্তানের জনক কর্তৃক ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের গোপন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে মোবাইল থেকে মোবাইলে। ঘটনার পর থেকে লম্পট পলাতক। গোপনসুত্রে এলাকাঘুরে জানাগেছে, স্বস্তিপুরের কলেজ অধ্যক্ষরের ৮ম শ্রেনীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে বিথীর (১৪) (বিথী প্রকৃত নাম নয়) সাথে একই এলাকার ইশারত আলীর ছেলে দুই সন্তানের জনক লম্পট কামাল সর্দ্দার (৪৩) ঐ স্কুল ছাত্রীর সাথে এলাকার এক পানক্ষেতের মধ্যে গোপনে মোবাইলের ভিডিও চালু করে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

বর্তমানে সেই ভিডিও ফুটেজটি এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইল মাধ্যমে সকলের হাতে হাতে ছড়িয়ে দিচ্ছে ঐ লম্পট। এমনকি দুর্লভ মূল্যে ভিডিওটি পাওয়া যাচ্ছে আলামপুর বাজারের ফরহাদ ও মেহেদীর কম্পিউটারের দোকান গুলোতে। বিষয়টি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্রমশ উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।

এ নিয়ে দলাদলির সৃষ্টি হচ্ছে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যস্ত হয়ে পড়ছে এবং ভোট নষ্ট হওয়ার ভয়ে কেউ বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে আসছে না। ঘটনার পর থেকেই লম্পট কামাল সর্দ্দার গা-ঢাকা দিয়েছে। তার বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনার বিষয়ে দহকুলাহ ক্যাম্প পুলিশ জানায়, এমন একটা ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে অভিযোগ না আসায় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানায়, বীথির পিতা চাকরির জন্য বাইরে থাকেন এবং সেই সুবাধে ঐ লম্পটের ওদের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল। যার ফলে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো সম্ভব হয়েছে। তবে এলাকাবাসী এর উপযুক্ত বিচার চাই্। এ ঘটনায় বিথীর মা বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন তিনি জানান, সম্পর্কে আমার মেয়ে ও কামাল মামা-ভাগ্নে, আমার বিশ্বাস এমন হতে পারে না। কেউ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু এলাকাবাসী বলছে ভিন্ন কথা।

তারা জানিয়েছে বীথির পিতা বাইরে থেকে এসে এখানে বাড়ি করে বসবাস করছে। এখানে তাদের আপন বাবা-চাচা বা অন্যকোন পুরুষ আত্মীয় না থাকায় শুরু থেকেই এই পরিবারটি ছিল প্রভাবশালী কামালের কাছে অসহায়। শুধু জোরপূর্বক বিথীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনই নয়, আরও কিছু ঘটনা আছে যা কোন দিনই বিথীর মা-বাবা স্বীকার করবে না। কারন জীবন নাশের ভয়। তাই বিষয়টি নিয়ে থানাপুলিশ করতে হয়তো ভয় পাচ্ছে অসহায় পরিবারটি।

এ বিষয়ে বিথীর স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, ঘটনার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যদি এমন ঘটে থাকে অবশ্যই আন্দোলনের মাধ্যমে অপরাধীর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন জানান, থানায় অভিযোগ জানালে অপরাধীকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।