বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লালন উৎসব

BRURবেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলেছেন ‘লালন ধার্মিক ছিলেন কিন্তু কোন বিশেষ ধর্মের রীতিনীতি পালনে আগ্রহী ছিলেন না। সব ধর্মের বন্ধন ছিন্ন করে মানবতাকে জীবনে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। সার্বজনীন, উদার ও প্রগতিশীল জীবনবোধ সৃষ্টি করে গেছেন।’ শুক্রবার সন্ধায় ক্যাম্পাসে আয়োজিত লালন উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

 

তিনি আরো বলেন ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও বেগম রোকেয়াসহ যুগে যুগে যত মহামানব এসছেন; লালন তাঁদের মতোই একজন মহামানব। লালন দর্শনের ব্যপকতা সকল কুপমন্ডুকতাকে ছেড়ে মানবিক মুল্যবোধের জন্ম দিয়েছে।’ উপাচার্য সকলকে লালন দর্শন চর্চার মাধ্যমে জীবন ও মনকে ব্যবকতায় রুপ দেওয়ার আহবান জানান।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক একটি সংগঠন গুনগুন এর উদ্যোগে আয়োজিত লালন উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মতিউর রহমান, উপাচার্যের সহধর্মিনী মিসেস গুল নাহার বেগম, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান, লালন গবেষক আবু বকর সিদ্দিক।

 

অনুষ্ঠানে ফকির বাবু শাহ, রুশিয়া, শিব লালন, অরণ্য আব্বাসসহ কুষ্টিয়া ও রংপুরের বরেণ্য শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গুনগুন এর সভাপতি এবং হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের শিক্ষক উমর ফারুক।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট