শাবিতে শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ

1 (9)শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান, প্রকৌশল) ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ রবিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ-২০১৫ এর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গতানুগতিক শিক্ষা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির ব্যাপারে কাজ করতে হবে। দেশের কলেজগুলোতেও উচ্চ শিক্ষা প্রধান করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার মধ্যে প্রার্থক্য রয়েছে। দেশের সমস্যা সমাধানে জন্য নতুন জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হতে হবে।

 

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষক স্কলারশীপ নিয়ে বিদেশে যান তারা গবেষণা করে সে দেশের সমস্যা সমাধান করেন এবং অর্জিত জ্ঞান ও সার্টিফিকেট নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। কাজেই বিদেশে অর্জিত জ্ঞান দেশের সমস্যা সমাধানে ও দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।

 

তিনি আরো বলেন, একসময় আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল ছিলো না-দেশে অভাব ছিলো। অনেক মানুষ দুবেলা পেটভরে খেতে পারতো না। কিন্তু আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও শাক সবজি এদেশে উৎপন্ন হয়। এসব সম্ভব হয়েছে বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকদের গবেষণার ফলেই। তাই এখন সকল বিশ্ববিদ্যায়ের সামগ্রিক শিক্রো পরিবর্তন আনতে হবে। গতানুগতিক পাঠদান ও কারিকুলাম থেকে বেরিয়ে এসে বাস্তবধর্মী ও বিশ্বমানের শিক্ষার দিকে অগ্রসর হতে হবে।

 

নবীনদের স্বাগত জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সীমিত সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের ভবিষ্যত গড়তে হবে। তবে সফলতা ও উন্নতি কেবলমাত্র নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে যাতে তোমাদের মেধা ও যোগ্যতা কাজে লাগে সে মানসিকতা রাখতে হবে। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয় পরিচালনায় ধনী-দরিদ্রসহ সাধারণ মানুষের অর্থের অংশ রয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে যারা হবে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা।

 

Post MIddle

সভাপতির বক্তব্যে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভ‚ইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। আমাদের নিম্ন মাধ্যম আয়ের দেশের উন্নতি হয়েছি এবং এধারা অব্যাহত থাকলে মধ্যম আয়ের দেশের উন্নতি হবো। তাই নবীনদের ভবিষ্যতে দেশের হাল ধরতে দক্ষ ও যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠতে হবে।

 

উপাচার্য আরো বলেন, এ বিশ্ববিদ্যায়ে নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে। একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় নতুন প্রকল্প হাতে রয়েছে। এসবের বা¯—বায়নে সকলকে সহমর্মিতা নিয়ে কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম একদিনের জন্যও যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুর রহমান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. রেজাই করিম খন্দকার এবং অধ্যাপক ড. কামাল আহমেদ চৌধুরী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবর্ষ ২০১৫-১৬ এর ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নারায়ন সাহা ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোসতাক আহমেদ।

 

পরিচিতি পর্বে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক এবং রেজিস্ট্রার যথাক্রমে নিজ নিজ স্কুলের বিভাগীয় প্রধানদের ও দপ্তর প্রধানদের পরিচয় করিয়ে দেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন নবীনবরণ কমিটির সদস্য সচিব রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন। নবাগত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে এ ইউনিটে ১ম স্থান অধিকারি ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী বুশরা জান্নাত ও বি ইউনিটে ১ম স্থান অধিকারি কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র দোলন বৈরাগী তাঁদের অনুভূতি ব্যক্ত করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

 

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম। সন্ধ্যায় নবীন উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে নাটক মঞ্চস্থ করা হয়।

 

লেখাপড়া২৪.কম/শাবি/পিআর/এমএএ-০৬১২

পছন্দের আরো পোস্ট