প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের মহাসমাবেশ ২৬ ডিসেম্বর

Somabeপ্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফেডারেশনের ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫, শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ব নির্ধারিত ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশ ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর ছুটি পরিবর্তনের কারণে পরিবর্তন করে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

 

বাংলাদেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাৎসরিক ছুটির তালিকায় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, বড়দিন ও শীতকালীন ছুটি ২৪ তারিখ থেকে নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ধর্মীয় ছুটিগুলো নির্ধারিত হয় চাঁদ দেখার উপর। যেহেতু ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ২৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার তাই ২৪ ডিসেম্বরের ছুটি পরিবর্তন হয়ে ২৬ ডিসেম্বর, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। তাই শিক্ষকদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করে ২৬ ডিসেম্বর, শনিবার নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

পরিবর্তিত তারিখের মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানিয়েছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ। আজ ২৩ ডিসেম্বর, এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনুর আল আমীন, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুর রহমান বিশ্বাস, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি নাসরিন সুলতানা ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন আগামি ২৬ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহা-সমাবেশ সফল করার জন্য তাদের প্রতিটি ইউনিট, উপজেলা ও জেলা নেতৃবৃন্দের প্রতি এই আহ্বান জানান।

 

Post MIddle

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সহকারী শিক্ষকদের প্রাণের দাবি আদায়ে ঢাকার মহা-সমাবেশ সফল করার জন্য সারা দেেেশর সহকারী শিক্ষদের অংশগ্রহণ করারও আহ্বান জানিয়েছেন।

 
সহকারী শিক্ষকদের ৬ দফা দাবি:
১. প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে (১২,৫০০ টাকা) পূনঃনির্ধারণ করা।
২. সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বন্ধ করে সহকারী শিক্ষক পদ থেকে নিয়োগ দিয়ে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে মহাপরিচালক পদ পর্যন্ত শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির সুযোগ প্রদান করা।
৩. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা পরিবর্তন করে মহিলা পূরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রী শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা।
৪. জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ঘোষণা করা এবং সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা।
৫. টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পূনঃবহাল করে দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।
৬. নন-ভ্যাকেশনাল ডিপার্টমেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য অর্জিত ছুটির বিধান প্রণয়ন করা।#

 

লেখাপড়া২৪.কম/পিআর/আরএইচ-৫১০৭

পছন্দের আরো পোস্ট