জাবি পরীক্ষার্থীদের দাবি শতভাগ পাস

গণবিঅতি সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষ সম্মানের ফল প্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশিত হয়। এতে ৭৬% পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। বিভিন্ন কলেজের অকৃতকার্য হওয়া একশ’ জনের মত শিক্ষার্থী আজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটে অবস্থান গ্রহণ করে নিন্মোক্ত দাবিনামা পেশ করে।

 

২০০৯-২০১০ সেশনে অনার্স ছাত্র-ছাত্রীদের দাবিসমূহ ঃ
১. ৪র্থ বর্ষের সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শতভাগ পাস দিতে হবে।
২. পূর্বের বছরের মানন্নোয়ন পরীক্ষা থাকা স্বত্বেও সবাইকে মাস্টার্স-এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
৩. সকল বছর মিলে সি.জি.পি.এ ২.০০ এর উপরে থাকলেই তাকে অনার্স সনদ দিতে হবে।
৪. সনদ এর সাথে ওৎৎবমঁষধৎ লেখা উল্লেখ করা যাবে না।

 

উল্লিখিত দাবির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবস্থান নিম্নরূপ ঃ
১. ১০ই ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা।
২. আবেদনকারীদের উত্তরপত্র পূনঃ নিরীক্ষণ করে ১০ (দশ) দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা।
৩. পূনঃ নিরীক্ষণে কারো ফল উন্নীত হলে পরিবর্তিত ফল প্রকাশ করা হবে।
৪. পূনঃ নিরীক্ষণে পাস করলে মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেয়া হবে।
৫. প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র দেখার সুযোগ দেয়া হবে।
৬. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর সনদে ‘ওৎৎবমঁষধৎ’ শব্দ থাকে না।

 

Post MIddle

এর বাইরে কোনো অযৌক্তিক দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য হবে না। উল্লেখ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার প্রতি সংবেদনশীল থেকে আসছে। সে কারণে সেশনজট নিরসনে ক্রাশ প্রোগ্রাম গ্রহণ, সর্বোচ্চ ৩ মাসের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষা অনুষ্ঠান, ৩ মাসের মধ্যে যে কোন পরীক্ষার ফল প্রকাশ ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে, শিক্ষার্থীরা ন্যায়সংগত ও যুক্তিপূর্ণ আচরন করবে এবং ‘শতভাগ পাস’ দেওয়ার (১ নম্বর দাবি) দাবির অর্থ যে অটো প্রমোশন দেয়ার নামান্তর-এ ধরনের দাবির অযৌক্তিকতা উপলব্ধি করে তা থেকে সরে আসবে। তাদের শিক্ষা ও কর্ম জীবনের স্বার্থেই তা আবশ্যক। বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সেশনজট মুক্ত করা ও কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছে।”

 

লেখাপড়া২৪.কম/জাবি/পিআর/এমএএ-০৩১৬

পছন্দের আরো পোস্ট