উত্তরা ইউনিভার্সিটির আয়োজিত উচ্চ শিক্ষায় বাংলাদেশ

11214328_10153811676058593_1997220270884740038_nউত্তরা ইউনিভার্সিটি আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার মান না বাড়লে উচ্চ শিক্ষার প্রসারে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে না। পার্বত্য বান্দরবান জেলায় উত্তরা ইউনিভার্সিটি আয়োজিত উচ্চ শিক্ষায় বাংলাদেশের পার্বত্য জনগোষ্ঠী শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, আর্থিক অস্বচ্ছলতা ও আবাসিক সংকটের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রাজধানি বা চট্টগ্রামে গিয়ে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীও উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে পারে না।

 

তারা বলেন, শিক্ষা ও দারিদ্রের দুষ্টচক্রে আবর্তিত হচ্ছে পার্বত্য অঞ্চলের উচ্চ শিক্ষা। তাদের মতে, শিক্ষার অভাবে দারিদ্রতা দূর হচ্ছে না, নাকি দারিদ্রতার জন্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া হচ্ছে না চিহ্নিত করা জরুরী।উত্তরা ইউনিভার্সিটির পরিচালক (মিডিয়া ও পিআর) রহমান মুস্তাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সিং ইয়াং স্রাে, শিক্ষাবিদ ও বান্দরবান পৌরসভার সাবেক কমিশনার ক্যাসা মং, গবেষক ও সাংবাদিক বুদ্ধজ্যোতি চাকমা, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উ উইন মং জলি, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রেশমী চাকমা।

 

Post MIddle

বান্দরবান পৌরসভা মিলনায়তনে অনষ্ঠিত সেমিনারে লিখিত প্রবন্ধ উত্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস-এর পরিচালক (সিসিডি) ও সিনিয়র প্রভাষক মো. আনিসুজ্জামান।বক্তারা বলেন, ভাষা সমস্যার কারণেও উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে পার্বত্য এলাকার শিক্ষার্থীরা। বর্তমান সরকারের আমলে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে উচ্চ শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককেই বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যেতে পারছে এমন শিক্ষার্থীরই অভাব রয়েছে। বর্তমানে পার্বত্য এলাকায় উচ্চ শিক্ষার হার শূণ্য দশমিক ৫২ শতাংশ মাত্র। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থেই এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরী।

 

লেখাপড়া২৪.কম/বেরোবি/আলী/এমএএ-০২৫৯

পছন্দের আরো পোস্ট