শাবিতে দুই বিভাগে মারামারি, আহত চার
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ এবং শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত চার জনের মধ্যে একজনকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আরিফ নামের শিক্ষার্থীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা শাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামারুজ্জামান চৌধুরী এ ঘটনার ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠনর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করাসহ ক্যাম্পাসের বাড়তি নিরাপত্তায় প্রক্টরীয়াল কমিটি তৎপর আছে বলেও জানান তিনি।
ক্যাম্পাস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রবিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নৃবিজ্ঞান বিভাগ এবং শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ফুটবল খেলা শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার এক পর্যায়ে এ মারামারি বাধে। এসময় শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা নৃবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে আঘাত করে। এ সময় নৃবিজ্ঞান বিভাগের দুইজন শিক্ষককেও তারা লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ করেছে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহকারী প্রক্টর ও শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক জাহিদ হাসানের সাথে বাকবিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়ে এবং মোটর সাইকেল ধরে টানাটানি করে বলে অভিযোগ করে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে, শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আরিফ, রাদিন,মুসা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে গেলে তাদের উপর নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা হামলা করে বলে অভিযোগ করে শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা গোলচত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বন্ধ করে দেয়। এসময় তারা হামলার সাথে জড়িতদের বহিষ্কারের দাবি জানায়। এসময় তাদেরকে শান্ত করতে পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম আসলে তাঁর সাথে বাকবিতণ্ডা ও এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির পর্যায়ে চলে যায়।
এদিকে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভাগের দুই শিক্ষককে লাঞ্চনা করা হয়ে বলে দাবি করে। তবে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. মুনজুরুল হায়দার (সুমন আখন্দ) জানান, আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছি। তবে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য এককভাবে কাউকে দায়ী করা যায়না।
এ ঘটনায় জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, পুলিশ প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে
আছে। ঘটনাস্থল এখন অনেকটা স্বাভাবিক।
লেখাপড়া২৪.কম/শাবি/সাফকাত/আরএইচ-৪৭৫৯