রাবিতে ছাত্রজোটের সমাবেশে মাইক অপারেটরকে ওসির মারধর
তোবা গার্মেন্ট শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমাবেশে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এসময় সমাবেশ পন্ড করতে মাইক কেড়ে নিয়ে মাইক অপারেটরকে মারধর করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুটিটাকি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের দাবি, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ইউনিয়নের টেন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন প্রগতিশীল ছাত্রজোট রাবি শাখার নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টুকিটাকি চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তারা মাইকে ভাষন দেয়ার সময় রাজশাহী মহানগরীর সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখার আহমেদ ও মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন মাইক অপারেটর আলাউদ্দিনকে (৬০) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন। পরে পুলিশের বাধার মুখে সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়।
সমাবেশ থেকে ছাত্রজোটের নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে দেখা করে সমাবেশে বাধা দেয়া এবং মাইক অপারেটরকে মারধর করার প্রতিবাদ জানাতে গেলে প্রক্টর তাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের হাতে দেয়া হয়েছে। তাই পুলিশের কোনো কর্মকান্ডে তিনি হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা ও রাবি ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারুক ইমন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। আমরা সংক্ষিপ্তভাবে সমাবেশ করতে চাইলেও তারা মাইক কেড়ে নিয়ে সমাবেশে পন্ড করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চালুর একদিন পরেই আইন না মেনে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করলে তাদের বাধা দেয়া হয়েছে। সবার সমনে মাইক অপারেটরকে বিনা অপরাধে পুলিশ মারধর করতে পারে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে আমাদের অনেক কিছুই করতে হয়।
সুউ ফয়সাল