নীরব ক্যাম্পাসে ঈদ আনন্দের প্রস্তুতি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
চারদিকে সুনসান নীরবতা। নেই কোন কোলাহল। ভবনগুলোতে যেন মৃত্যুর নিস্তব্ধতা নেমেে এসেছে। সদা চঞ্চল, ছাত্র-ছাত্রীদরে আড্ডায় মুখর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসরে র্বতমান চিত্র এটি।
ঈদের বেশকয়েকদিন আগে থেকেই ঢাবি হারাতে শুরু করে তার চিরচেনা রূপ। শেকড়ের টানে ছাত্র-ছাত্রীরা পাড়ি জমায় নিজ নিজ গাঁয়ে। তাই ক্যাম্পাস শ্যাডোতে জমে ওঠেনা বন্ধুদরে আড্ডা। টিএসসির চেহারাটা থাকে না আগের মত উৎফুল্ল। কলা ভবনের সামনের জায়গাটা খালিই পড়ে আছ।মধুর ক্যান্টিন, ভার্সিটি চত্বর, মল চত্বর, জসীম উদ্দিন বা মুহসীন হলরে মাঠ সব যেন শোকে মূহ্যমান। গলা উচিয়ে স্লোগান ধরেনা কোন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
এর পরও অনেক ছাত্রই থেকে যান ক্যাম্পাসে। কেউ পরীক্ষার পড়াশোনার জন্য, কেউ আর্থিক সমস্যার কারণে, কেউবা আবার চাকরি না পাওয়ার লজ্জায় বাড়িতে না গিয়ে হলেই ঈদ করনে।
এসব শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় র্কতৃপক্ষ ছুটির সময়ও হলগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থা করেন। যেসব শিক্ষার্থী অবস্থান করেন তাদরে একটি তালিকা করে হল প্রশাসন ঈদের দিন বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে।
ঈদের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ কয়েকটি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের দিন মসজিদগুলোতে যথারীতি মানুষের ভীড় থাকায় শিক্ষার্থীরা কিছু সময়ের জন্য হলেও ভুলে যান একাকীত্বের যন্ত্রণা। এবার ঢাবিতে মোট ৪টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সাধারণত দেখা যায় নামাজ আদায় করে অনেক্যেই চলে যান ঢাকায় অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনদের বাসায়। আর যাদের তেমন কোন আত্মীয়-স্বজন নেই তারা মধুর ক্যান্টিনসহ ক্যাম্পাসের পরিচিত এলাকাগুলোতে যেখানে লোক সমাগম তুলনামুলক বেশি, সেসব জায়গায় আডডা দেন। কেউবা বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বা সিনেমা হলে যান হলে। আর যারা এসবের কিছুই করেন না, তাদের ফোনে বা ইন্টারনেটে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেই কেটে যায় সারাদিন।
প্রতি ঈদেই হলগুলোতে বেশ খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়। মাংস পোলাও পানীয় সহ অনেক কিছুই সরবরাহ করা হয় হল থেকে। সর্বেোপরি হলের ঈদগুলো ভাল্শেই কাটে বলে জানালেন ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা। তবে আগের ঈদগুলোতে হাড়ি ভরে রান্না করে হলের মেসগুলোতে দেয়া হতো। কিন্তু এখন পার্সেল করে দেয়া হয়। তাই খাওয়ার আনন্দ অনেকাংশে কমে গেছে বলেও জানালেন তারা।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আহাদুল ইসলাম শাকিল জানালের, পরিবার ছাড়া এটাই প্রথম ঈদ। পরিবারের সাথে ঈদ না করে কষ্ট হচ্ছে, তবে কিছুটা রোমাঞ্চিতও বোধ করছি। কারণ সবাইকে ছাড়া হলের ঈদ কেমন হয় সে বিষয়ে কিছুটা অভিজ্ঞতাও হবে।
দ্বিতীয় বর্ষেয়র শিক্ষার্থী ফিরোজ জানালেন, ঈদের পরপরই পরীক্ষা। তাই বাড়ি যেতে পারিনি। পরিবারের কথা মনে হলে কিছুটা খারাপ লাগছে। তবে সব মিলিয়ে হলের পরিবেশ খারাপ না।
এভাবইে ঈদে যারা নিতান্তই বাধ্য হয়ে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ করে উঠতে পারেন না, অন্তত তাদের কারণে হলেও কিছুটা প্রাণের ছোয়া পায় দেশের সর্বেোচ্বাচ এ বিদ্যাপীঠ। একইভাবে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঈদ করে থাকেন শিক্ষার্থীরা।#
আরএইচ