‘টিআইবির রিপোর্টে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে’
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, গত ৩০ জুন টিআইবি ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
দেশের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াগুলো সেখানে প্রকাশিত নেতিবাচক দিকগুলো ফলাও করে প্রকাশ করে।
টিআইবি গত ৭ জুলাই আমার নামে তাদের রিপোর্টের একটি কপি সচিবালয়ের গেটে জমা দিয়ে গেছে। একেবারে প্রথম দেখায়ই তাদের রিপোর্টের কয়েকটি দুর্বল দিক নজরে এসেছে।
শিক্ষার মান ও শিক্ষাব্যবস্থাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তা করা হয়েছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, টিআইবির রিপোর্টে তাদের গবেষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে অসত্য ও ভুল তথ্য দিয়েই শুরু করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ২৯৭ জন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছে যা ২০১২ সালে ছিল সাত লাখ ২১ হাজার ৯৬৯ জন।
প্রকৃত তথ্য হলো- ২০১২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছে সাত লাখ ২১ হাজার ৯৭৯ জন। ২০১৩ সালে পাস করেছে সাত লাখ ৪৪ হাজার ৮৯১ জন।
রিপোর্টে ২০১২ সালের হিসাব উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৬০টির মধ্যে ৪৭টি ঢাকায় অবস্থিত অর্থাৎ সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ঢাকায় ৯৪টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
এখানে প্রশ্ন হলো, তাদের হিসাব অনুযায়ী ৬০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকায় ৪৭টি। ৯৪টি থেকে ৪৭ বাদ দিলে আর থাকে ৪৭টি।
২০১২ সালে দেশে মোট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৩৩টি। এর মধ্যে ঢাকায় ছিলো পাঁচটি। তাহলে সরকারি সবকটিকে ঢাকায় তুলে আনলেও বাকি থাকে আরো ১৩টি? আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা রিপোর্টের এ কোন রূপ!
নাহিদ আরও বলেন, রিপোর্টে মুখ্য তথ্যদাতা হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির কর্মকর্তার কথা উল্লেখ আছে। অথচ টিআইবির এ গবেষণা চালাতে গিয়ে তথ্য পাবার জন্য তারা মন্ত্রণালয়ে কোনো যোগাযোগ করেনি, কোনো চিঠিপত্রও দেয়নি। দুই বছরব্যাপী এতবড় আন্তর্জাতিক মানের একটি গবেষণার কাজ তো গোপনে চলতে পারে না। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি’র তথ্যদাতার নাম-পরিচয় জানতে আমরা টিআইবিকে গত ১৪ তারিখে চিঠি দিয়েছি।
স: ইএইচ