‘ভিসি পরিকল্পিতভাবেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন’

JSTUযশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি  পরিকল্পনাতেই ছাত্র রিয়াদকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ সভাপতি, সেক্রেটারিসহ তার সমর্থকরা। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে যশোর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।

গত সোমবার দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নাইমুল ইসলাম রিয়াদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ছাত্রলীগের বহিরাগত কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে এটাই প্রথম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। আর এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথম দফায় ছাত্রলীগ সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস ও সেক্রেটারি শামীম হাসানকে বহিষ্কার করে।
এ দুজন ফিসারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়ো সায়েন্স এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়ো টেকনোলজির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। পরে রাত ৯টার দিকে ফয়সাল তানভীর ও আব্দুল আজিজকে বহিষ্কার করা হয়।

এরা পরিবেশ বিজ্ঞান প্রথম বর্ষ ও শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

তবে সুব্রত ও শামীম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্টো রিয়াদকে হত্যার জন্য ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারকে দায়ী করেছেন তারা।

মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নেতা সুব্রত বিশ্বাস ও শামীম হাসান দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

Post MIddle

ভিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চান না ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ থাকুক। এ কারণে ভিসি এর আগে বেশ কয়েকবারই বলেছেন, ‘তিনি থাকতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকে রাজনীতি করতে দেবেন না।‘

শামীমের অভিযোগ, ভিসি এবং বিজ্ঞান অনুষদের কতিপয় ডিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটূক্তি করায় তারা আন্দোলন শুরু করেন। সেই আন্দোলন ভেস্তে দিতেই ভিসি ও তার অনুসারীরা বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন বিপুল, সহসভাপতি ফয়সাল খান প্রমুখ।

একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভা আহ্বান করা হয় বলে জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়াতুজ্জামান মুকুল।

সভা শেষে ভিসি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা এবং ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় এরই মধ্যে হল ছেড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রলীগ নেতা (বহিষ্কৃত ছাত্র) সুব্রত ও শামিমের অভিযোগ প্রসঙ্গে ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীরা যেসব রুচিহীন বক্তব্য দিয়েছে তার জবাব দেওয়ার মানসিকতা আমার নেই। বরং, তারাই প্রমাণ করুক আমি হত্যার পরিকল্পনাকারী বা ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনেছি কি না।’

স: ইএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট