মাদরাসা শিক্ষার ব্যাপারে বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধের আহ্বান
মাদরাসা শিক্ষার ব্যাপারে শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মাদরাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মাদরাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত বিশিষ্ট আলেমদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তারা এ আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় আলেমরা বলেন, সরকার মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনে ফাযিল ও কামিলকে অনার্স ও মাস্টার্সের যে মান দিয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিল বর্তমান সরকার পাশ করেছে তা দ্রুত কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
তারা বলেন, মাদরাসা ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১ম থেকে ১০ম পর্যন্ত স্থান পাওয়ার পরও তাদের পছন্দের ১৩টি সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শিক্ষিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্র ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে দায়িত্বপালন উপযোগী অসংখ্য যোগ্য লোক তৈরি হয়েছে, বর্তমানেও এই ধারা অব্যাহত আছে।
বর্তমানে মাদরাসা শিক্ষার সঙ্গে জড়িত শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পর্যায়ে অধিকার বঞ্চিত। ২০১৩ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ১ম হয়েছে মাদরাসার ছাত্র। তারপরও আমাদের কেন পিছিয়ে রাখা হয়েছে?
বাংলাদেশ মাদরাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা আবুবকর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- চরমোনাই পীর ফেরদাউস বিন ইসহাক, মাওলানা কে.এম আবদুস সোবহান, মাওলানা গাজী আবুল কাশেম, মাওলানা মহিউদ্দিন, পরিষদের সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবদুস ছবুর মাতব্বর, রামপুরা নুরানী মসজিদের খতিব মহিউদ্দিন মাসুম, পরিষদের সদস্য সচিব মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহ আলম প্রমুখ।
স: ইএইচ