সড়ক দুর্ঘটনায় খুবির চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্র নিহত: ক্যাম্পাসে শোক

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ১৩ ব্যাচের ১ম বর্ষ ২য় টার্মের ১৩০১৩২ রোল নম্বরধারী মেধাবী ছাত্র অমিত রায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় মৃত্যুবরণ করে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর নিউমার্কেটের সামনে নগর পরিবহনের একটি বাস একটি ইজিবাইককে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর মারাত্মক আহত অমিত রায়কে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে সে মারা যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান, চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. আমিরুল মোমেনিন চৌধুরী, রেজিস্ট্রার ড. মোল্লা আমীর হোসেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক ও বর্তমান স্থাপত্য ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. অনির্বাণ মোস্তফাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী হাসপাতালে পৌঁছান। শিক্ষার্থীরা এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শিক্ষকরা ছাত্রদের সান্তনা দেন। Photo of KU Student Amit Ray

উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এ দুর্ঘটনার খবর শোনার পর উক্ত ছাত্রের জন্য যথাযথ চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও একজন ডাক্তারকে সাথে দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য এ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে। পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। রাতে অমিত রায়ের মৃতদেহ তার স্বজনরা গ্রামে নিয়ে যান। অমিত রায় পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান। তার বাড়ি যশোরের বাঘার পাড়া উপজেলার ঢেপখালি গ্রামে। তার পিতার নাম তপন রায়। আজ সকালে সহপাঠিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস যোগে অমিতের গ্রামের বাড়ি রওনা হয়।

Post MIddle

শোক কর্মসূচি
সড়ক দুর্ঘটনায় খুবির চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্র অমিত রায় নিহত হওয়ায় তার স্মরণে আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণের কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে।

উপাচার্যের গভীর শোক
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্র অমিত রায় নিহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বার্তায় তিনি তার আত্মার শান্তি কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গ এবং চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেন, মেধাবী এ ছাত্রের মৃত্যুতে তার পরিবার এবং ইনস্টিটিউটের জন্য অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান, চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. আমিরুল মোমেনিন চৌধুরী, রেজিস্ট্রার ড. মোল্লা আমীর হোসেন, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. অনির্বাণ মোস্তফা, ইনস্টিটিউটের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। #

স:আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট