রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এখনও অবরুদ্ধ

চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন চালুর দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এ কে এম নূর-উন-নবীকে অবর”দ্ধ করে রেখেছে সাবেক ভিসি আব্দুল জলিল মিয়ার আমলে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে তারা ভিসিকে অবর”দ্ধ করে রেখেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ১০টা) ভিসি অবর”দ্ধ রয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ভিসিকে অবর”দ্ধ করে রাখার ঘোষণা দিয়ে ভিসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা। ভিসি সারাদিন রোযা রেখেছেন, তবে অবর”দ্ধ থাকার কারনে এখনো (রাত ১০টা) এক ফোটা পানি মুখে দেননি। যতক্ষন না অবরোধ তুলে নেবেন ততক্ষন ভিসি কোন কিছু মুখে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।RRR
ভিসি প্রফেসর ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলছেন, আমার করার কিছুই নেই। ইউজিসি যেসব পদের অনুমোদন দেয় শুধু সেসব পদের কর্মকর্তা কর্মচারীই বেতন পাবেন। তিনি বলেন ‘এক বছর আগে আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে তিনশত জনের চাকুরী ছিলনা। তারা সবাই অননুমোদিত পদে বায়বীয়ভাবে নিয়োগ পেয়েছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পর্যায়ক্রমে ইউজিসি থেকে ২৫০টি পদের অনুমোদন এনে তাদের চাকরি স্থায়ী করেছি। বাকী যারা আছেন তারাও পর্যায়ক্রমে স্থায়ী চাকরি পাবেন। কিন্তু কবে হবে, এটি বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কারন যতক্ষন না ইউজিসি পদ ও টাকা দেবে ততক্ষণ আমার পক্ষে কাউকে পদায়ন করা সম্ভব নয় এমনকি বেতন দেওয়াও সম্ভব নয়। যদি আজকে পদ পাই আজকেই তাদের চাকরি স্থায়ী হবে। কালকেই বেতন পেয়ে যাবে। অর্থাৎ যখনই পদ ও টাকা পাবো তখনিই তাদের চাকরি ও বেতন হবে।
সুত্র জানায়, সাবেক ভিসি আব্দুল জলিল মিয়া ২৬০ অনুমোদিত পদের বিপরিতে ৬৬৮ জনকে নিয়োগ দেন। সবশেষে তিনি এসব জনবলকে বেতন দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএফ ফান্ডসহ সব ফান্ডই শুন্য করে রেখে যান। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টে ছিল ১৩৩টাকা ৫০পয়সা। আর অবৈধ নিয়োগ আর দুর্নীতির দায়ে দুদকের মামলা হয় সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের নামে। যা বর্তমানে তদন্ত চলছে। ##

Post MIddle

স:আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট