গতিহীনভাবে চলছে ইসলামী বই মেলা

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইসলামী ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাসব্যাপী ইসলামী বই মেলা চলছে গতিহীনভাবে। ২৯ জুন শুরু হওয়া মেলায় ক্রেতাশূন্য অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গেছে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশক ও স্টল মালিকদের।

Islamic-book

 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে ইসলামী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ইসলামী বই মেলা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

 

 

মেলায় অংশগ্রহণকারী এমদাদিয়া লাইব্রেরির বিক্রয়কর্মী আরিফ খান বলেন, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে ক্রেতার একটা চাপ থাকে, তখন মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে বিক্রির হার গত বছরের তুলনায় অনেক কম।

 

 

বিক্রির হার কেন কম এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটা মানুষের কাছে এখন টাকার সংকট রয়েছে। এছাড়া মানুষ তাঁর মৌলিক চাহিদা মেটানোর পর বিলাসিতা বা তাদের শখ পূরণ করবে। কিন্তু এখন মানুষের মাঝে যে টাকার দৃশ্যমান সংকট তৈরি হয়েছে এবং দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধগতি দেখা দিয়েছে তাতে মধ্যবিত্ত মানুষ কোনভাবেই বই কেনার শখ পূরণ করতে পারছে না।

 

দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দার করণ দেখিয়ে তিনি বলেন, আগের চেয়ে ব্যবসায় প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, এখন মানুষ ঘরে বসে বা ঘর থেকে বের হলেই সবকিছু পাচ্ছে। কিন্তু আগে সবকিছুর একটা নির্দিষ্ট জায়গা ছিল।

 

 

এই ব্যাপক প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে ক্রেতা ভাগ হয়ে যাচ্ছে, ফলে ব্যবসায় টিকে থাকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিক্রি না হওয়ার কারণ হিসাবে ইসলামী ফাউন্ডেশনকে দায়ী করে তিনি বলেন, মাসব্যাপী বই মেলা হচ্ছে কিন্তু কোন প্রচার কার্যকম নেই। শুধু শুক্রবারে জুম্মার নামাজের সময় বলে দেয়া হয়। এতে সার্বিক প্রচার কার্যক্রম সম্পূর্ণ হয় না।

 

 

Post MIddle

এর পাশের স্টলে দাঁড়িয়ে থাকা এক ক্রেতার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি প্রথমেই অভিযোগ করে বলেন, ভাই ইসলামী ফাউন্ডেশনে একটা বইও পূর্ণাঙ্গভাবে পাওয়া যায় না।

 

 

তিনি আরও বলেন, বুখারী শরিফ ১০ খণ্ডের মধ্যে ১০ খণ্ড আপনি পাবেন না। তারা আপনাকে বলবে ভাই ৫ খণ্ড আছে বা ৬ খণ্ড আছে। কিন্তু ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে কিনলে অনেক কম দামে পাওয়া যায়।

 

 

ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে মেলায় অবস্থিত ইসলামী ফাউন্ডেশনের স্টলে গিয়ে বিক্রয়কর্মীর সাথে ক্রেতা হিসাবে বুখারী শরিফ সম্পূর্ণ অংশ কিনতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই ৬ খণ্ড পাবেন, আর পাবেন না।

 

 

পাবো না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারী কাজ এই রকমই হয়। এখন ৬ খণ্ড নিয়ে যান, আর পরে বাঁকি ৪ খণ্ড নিয়ে যাবেন।

 

 

মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টল মালিকদের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ ফিরোজ নিউজনেক্সটবিডিকে বলেন, মেলায় এবার ৫৭টি স্টল আছে, প্রতিবছর মেলা আয়োজন করা হয়। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে ফাউন্ডেশনের অবহেলার কারণে মেলায় বিশৃঙ্গলা দেখা যেত, কিন্তু এবার মেলা ভালোভাবেই চলছে তবে বিক্রির হার একটু কম।

 

 

মেলার সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মেলা উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক কুদ্দস মিয়াকে ফোন করে সাংবাদিক পরিচয় দিতে তিনি বলেন, ভাই ব্যস্ত আছি,পরে ফোন করেন।

 

স: ইএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট