অক্টোবরে ৩৬ ও ৩৭তম বিসিএসের ফল

আগামী অক্টোবর মাসেই ৩৬ ও ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরিকল্পনা করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। নভেম্বর মাসে ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারী পরীক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনা আছে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ৩৬ ও ৩৭তম বিসিএসের ফল প্রকাশের পরিকল্পনা থাকলেও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তা হচ্ছে না। মূলত পিএসসির আর্থিক স্বাধীনতা না থাকার কারণে বিভিন্ন কার্যক্রম কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টরা।

পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, আর্থিক স্বাধীনতা অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর থাকলেও পিএসসির ক্ষেত্রে নেই। এজন্য নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে কাজ করতে হয় পিএসসির। শত প্রতিকূলতার মাঝেও কাছাকাছি সময়ে ৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল এবং ৩৭তম বিসিএসের লিখিত ফলাফল প্রকাশ করবে কমিশন। ৩৬তম বিসিএসের ফল প্রকাশ করে ৩৭তম বিসিএসের ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত রয়েছে।

ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, একসঙ্গে বর্তমানে তিনটি বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে আমরা কাজ করছি। পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে যত দ্রুত সম্ভব ফলাফল প্রকাশের সব চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি অক্টোবরে কাছাকাছি সময়ে ৩৬ ও ৩৭ তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশ করতে পারবো আমরা।

৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত এবং ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে ৩৮তম বিসিএসে রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী আবেদন করায় প্রিলি পরীক্ষা নিতে বিলম্ব হচ্ছে। বিশেষ করে বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার স্থান, প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ছাপানোসহ সব মিলে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। এ জন্য এই পরীক্ষা নিতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে নভেম্বরের মধ্যেই ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই বিসিএসের জন্য ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন প্রার্থীর আবেদন পেয়েছে পিএসসি। গত ১০ জুলাই থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে গত ১০ আগস্ট শেষ হয়।

Post MIddle

গত ২০ জুন ২৪ ক্যাডারে দুই হাজার ২৪টি শূন্য পদে নিয়োগের সুপারিশ করতে ৩৮তম বিসিএসের সার্কুলার জারি করে পিএসসি। এই বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০, পুলিশে ১০০সহ সাধারণ ক্যাডারে ৫২০টি, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৫৪৯টি এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৯৫৫টি পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে। এই বিসিএস পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের বাংলাদেশ ইতিহাস থেকে ৫০ নম্বর কমিয়ে আনা হয়েছে।

সেখানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যুক্ত করে ৫০ নম্বর নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলার পাশাপাশি এবার ইংরেজিতেও প্রশ্ন প্রণয়ন করা হবে। সাত বিভাগের পাশাপাশি এবার নতুন বিভাগ ময়মনসিংহেও পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি খাতা দু’জন পরীক্ষক মূল্যায়ন করবেন। তাদের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠানো হবে। এর ফলে পরীক্ষার্থীদের মেধা যথাযথভাবে মূল্যায়িত হবে বলে মনে করছে পিএসসি।
আগে প্রকাশ হবে ৩৬তম বিসিএসের ফল

সহসাই প্রকাশ করা হচ্ছে ৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে পিএসসি। অক্টোবরেই সুখবর পাবে পরীক্ষার্থীরা। তবে এ ব্যাপার ক্যাডার ডিস্ট্রিবিউশন সফটওয়ারের (ক্যাডস) মাধ্যমে ৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করবে পিএসসি। যদিও ক্যাডসের পাশাপাশি ম্যানুয়ালি ফলাফলও প্রস্তুত থাকবে। পরীক্ষামূলক ৩৬তম বিসিএস থেকে এই পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। এর আগে নন-ক্যাডার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে ‘সার্চ ইঞ্জিন’ সফটওয়ার ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছে কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় ক্যাডার পরীক্ষায় আসছে ‘ক্যাডস’।

৩৮এর আগেই ৩৭তম বিসিএসের ফল ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরুর আগেই ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করবে কমিশন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার আটটি এবং ঢাকার বাইরে ছয় বিভাগীয় শহরে ছয়টি কেন্দ্রে ৮ হাজার ৫২২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন।

পছন্দের আরো পোস্ট