
তদবির নয়,দায়িত্ব পালনকারীদের যথাযথ মূল্যায়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট সাপোর্ট সার্ভিসেস বিভাগ আয়োজিত “শিক্ষার্থী সেবার মান বৃদ্ধি ও কাজের গতিশীলতা আনয়ন” বিষয়ক দিনব্যাপী এক কর্মশালা আজ (১৯ জানুয়ারি ২০২৫) তারিখ সকাল ১০ টায় বাউবির কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামের লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম।
আমি একজন উপাচার্য হিসেবে বাউবিতে দায়িত্ব পালন শুরু করার পর থেকে এখানে দেখা যাচ্ছে যে, আমার ফাইল এক মাস দেড় মাস পরে প্রসেস হয়। আমার ফাইল প্রসেস করার জন্য যদি আমার প্রোটোকল অফিসার এবং পিএসকে দৌড়ে ফাইল প্রসেস করতে হয়, তাহলে বাকিরা কতটুকু সেবা পায় সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। কাজের গতিশীলতা আনয়নের জন্য সঠিক পন্থায় সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে দ্রুত পালন করার কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অহেতুক কোন কাজ ফেলে রাখা যাবেনা। এটা এক প্রকার হয়রানি ও অন্যায়। আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের মধ্যে সমন্বয়ের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। একে অপরের উপর দোষারোপ না করে পারস্পারিক সমন্বয়ের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে। স্বতস্ফ্রুতভাবে ভালোবাসা দিয়ে কাজের মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। তদবির কোন বিবেচ্য বিষয় নয়, কর্মক্ষেত্রে সঠিকভবে দায়িত্ব পালনকারীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
পূর্বের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতার আলোকে উপাচার্য আরও বলেন, এখানে আসার আগে আমার কোন ফাইল আটকে থাকেনি। এটা হয়ত আমাকে সম্মান করে ভালবেসে করেছে। আমি আমার কাজের জন্য কখনও কাউকে বকা বা ধমক দেইনি। তারপরও ফাইলের কাজ থেমে থাকেনি বরং দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। যা ভালবাসা ও সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমেই সম্ভব।
সকল ডিন ও বিভাগীয় প্রধান, পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। পূর্বাঞ্চলের ছয়টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক ও তার অধীন উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ তাঁদের নিজ নিজ দাপ্তরিক সমস্যাদি ও প্রয়োজনীয় চাহিদার কথা বিস্তারিত তুলে ধরেন। বাউবি কর্তৃপক্ষ এসব কথা শোনেন এবং তা যতদ্রুত সম্ভব সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সাঈদ ফেরদৌস ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাঃ শামীম।
স্টুডেন্ট সাপোর্ট সাভিসেস বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তালেব কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন স্টুডেন্ট সাপোর্ট সাভিসেস বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবির খান।