এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি দিবস ও নবান্ন উৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদক।
কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাস হেমন্তকাল। শীতের আগাম বার্তা নিয়ে হেমন্তের আগমন। হেমন্তে কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন-‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়, এই কার্তিকের নবান্নের দেশে’। কৃষকের মুখে নতুন ধানের হাসি। বাংলার মাঠে মাঠে সোনালী রঙের ছড়াছড়ি। বাতাসে নতুন ধানের সুবাস। ধান ঘরে তুলতে কৃষক কৃষাণীদের কর্মব্যস্ততা। বাংলার এই কৃষক ও কৃষিকে এগিয়ে নিতেই প্রতিবছর ১লা অগ্রহায়ণ জাতীয়ভাবে পালন করে আসছে জাতীয় কৃষি দিবস।
এই সূত্র ধরেই বাংলাদেশের একমাত্র গবেষণাধর্মী বেসরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ বর্ণাঢ্য র্যালি,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা ইত্যাদি নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালন করেছে “জাতীয় কৃষি দিবস ও নবান্ন উৎসব”-২০২৪।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোঃ সাহেব আলী প্রামাণিক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ ইউসুফ হোসাইন খান, সহযোগী অধ্যাপক, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কৃষি অনুষদের কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ মেহেদী হাসান সোহেল, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী, শিক্ষার্থীবৃন্দ, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশ ধানের দেশ-গানের দেশ-পাখির দেশ। দেশের অর্থনীতি অনেকাংশে নির্ভর করে কৃষি এবং কৃষকের উপর। কিন্তু আমাদের দেশের কৃষকরা আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত। তাদেরকে আধুনিকায়ন করা, গ্রামে গ্রামে কৃষি সমবায় সমিতি গড়ে তোলা এবং কৃষি বীমা চালু করা এখন সময়ের দাবী।
বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন জাতীয় কৃষি দিবস কৃষকের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে সুতরাং পহেলা বৈশাখের মতো সারাদেশে জাতীয় কৃষি দিবসও উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করা হোক।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তাঁর সমাপনী বক্তব্যে কৃষককে জাতীর মেরুদণ্ড এবং সব সাধকের বড় সাধক বলে উল্লেখ করেন। জাতীয় কৃষি দিবস বাঙলি জাতীয় জীবনে অনাবিল আনন্দ, সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি বয়ে আনুক এবং “কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সমৃদ্ধি” শ্লোগান সফল হোক এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।