পেশাগত উন্নয়নে সফট স্কিল
ড. মুহাম্মদ ওমর ফয়সল।
বাড়িতে মায়ের হাতে লাগানো ৩০ বছরের একটি জাম গাছ ছিল। সিজনে প্রচুর জাম ধরতো। গাছটির প্রতি নিকটাত্মীয়ের অনেকেরই লোভ ছিল। কিন্তু মা গাছটি তাঁর ছোট পুত্রবধূকে গিফট করেন। মায়ের ভাষ্য, ‘অনেক কেনা ফার্নিচারে ক’দিন পরে ঘুনে ধরে যায়, বেশিদিন টিকে না’। আল্লাহর রহমতে, এই গাছের ফার্নিচার যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে- ইনশাআল্লাহ’।
আসলেই, বাড়িতে গাছ কাটা, স’ মিলে নিয়ে সাইজ অনুযায়ী কাঠ চিরানো, সেই কাঠ পানিতে ভিজানো, রোদে শুকানো, ফার্নিচার তৈরি করা; অবশেষে ট্রাক ভাড়া করে শহরের বাসায় নিয়ে আসা- বিস্তর ঝামেলার কাজ। তবে এটি যে একটি স্মরণীয় বাস্তবতা হয়ে থাকবে- তা মা বোধ হয় আন্দাজ করতে পেরেছিলেন।
করোনার পর পরই মা ফার্নিচার তৈরীর তাগিদ দেন। বাড়ির জন্যও প্রয়োজনীয় ফার্নিচার বানানোর ব্যবস্থা একসাথেই করা হয়। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে অবশেষে ফার্নিচার তৈরির যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। শেষ ফিনিশিংটা হওয়ার আগেই মা তাঁর প্রভুর দরবারে চিরতরে হাজিরা দিতে চলে যান।
এবার কোরবানির ঈদের পর ফার্নিচার বাসায় নিয়ে আসার জন্য আছলাম ড্রাইভারের মিনি ট্রাকটি ভাড়া করলাম। কিন্তু, তিনি তাঁর ট্রাকের পরিবর্তে ঢাকাগামী আরেকটি মিনি-ট্রাক আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই মালামাল ট্রাকে লোড হয়ে যায়।
কথা ছিল গ্রামের বাড়ি থেকে ট্রাকটি শহরের বাসায় ফার্নিচার নিয়ে যাবে এবং ওখান থেকেও কিছু মালামাল নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসবে। কিন্তু, নতুন ড্রাইভার পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন যে, ‘আছলাম মিয়ার সাথে ওনার ওয়ান-ওয়ে চুক্তি হয়েছে। ফেরত আসার চুক্তি হয়নি’। অবশেষে জানতে পারলাম যে, ‘আমরা বিক্রি হয়ে গেছি’। পেশার প্রতি আছলাম ড্রাইভারের চরম অশ্রদ্ধা সত্যিই দুঃখজনক।
ভদ্রলোকটি দাঁড়িওয়ালা, মুরুব্বি মানুষ। বয়স প্রায় ৬৫-র উপর। লোকটি বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে আমাকে বললেন, স্যার! ‘আমি এতো কিছু জানতাম না। জানলে মোটেও এখানে আসতাম না।আমি নোয়াখালীতে মালামাল নামিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলাম। পথে আমার সাথে এ চুক্তি হয়। আমি বললাম, ‘মুরুব্বী, ‘আপনার দোষ নেই’।
তিনি আমাকে বললেন, আসলে যা হওয়ার তো হয়েই গেছে। তবে এখান দু’টো অপশন আছে। একটি হলো, আমি এখন মালামালগুলো যত্ন করে নামিয়ে সাজিয়ে রেখে দিতে পারি। আপনি আছলাম সাহেবের সাথে মীমাংসা করে ব্যবস্থা দিতে পারেন। এতে আমাকে কোন প্রকার পারিশ্রমিক দিতে হবে না। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, যেহেতু ফার্নিচার লোড হয়ে গেছে; তাই ফার্নিচার আমি আপনার বাসায় পৌঁছে দেই। আপনি আমাকে ন্যায্য ভাড়া দিলেই চলবে’। তিনি আরো বললেন, ‘স্যার আমাদের ড্রাইভারদের কথা আমি কী বলবো ! .. আসলে যারা এই ধরনের দালালি করে মানুষকে কষ্ট দেয় তারা জীবনে বেশি উন্নতি করতে পারে না..। তাঁর পেশাদারিত্ব মনোভাব আমাকে আকৃষ্ট করল।
তিনি জামাল ড্রাইভার। সম্পূর্ণ পেশাদারিত্ব মনোভাব নিয়ে জীবনের ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। অবশেষে আমি তাঁর ট্রাকের পাশের সিটে বসেই বাসা পর্যন্ত এলাম। কথাবার্তা, গল্পগুজব এবং তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতার কাহানি শুনতে শুনতে কখন যে ৫ ঘন্টা চলে গেল টেরই পেলাম না।
প্রফেশনালিজমের ভূমিকা পর্ব লিখতে জামাল ড্রাইভারই যথেষ্ট- বলে ভাবলাম। তাই শিরোনাম দিয়েছি ‘Soft skills for professional development’
তাঁর জীবনে Hard Skill একটি মাত্র। আর তা হচ্ছে তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স। এবং সাফল্যের গল্পগুলোর পিছনের সিংহভাগ অবদান তাঁর Soft Skills । উন্নয়নের পেছনে সফট স্কিলের অবদান যে ৮৫ % এর উপরে তা আমার শেখা হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গ জামাল ড্রাইভার সাহেব
১.এ বয়সেও পেশা ধরে রাখার উদ্দেশ্য:
নিজের ফিটনেস ঠিক রাখা, দুষ্ট ড্রাইভারদেরকে আদর করে (প্রয়োজনে পিটিয়ে) মানুষ করা, হালাল ইনকাম, মায়ের যত্ন নেওয়া এবং নিজেরা স্বাধীনমতো স্বাচ্ছন্দে জীবন পরিচালনার উদ্দেশ্যেই এই পড়ন্ত বয়সে ট্রাক চালানো।
ছেলেদের প্লাটসহ ঢাকা শহরে কোটি টাকার সম্পদ আছে। তবুও পেশার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ, দায়িত্ববোধ এবং ভালোবাসা সত্যিই অবাক করা বাস্তবতা।
২. দূরদর্শিতা :
মুরুব্বি ৪৫ বছর ট্রাক চালান। জীবনে অসৎভাবে একটি পয়সাও উপার্জন করেননি। ৪৫ বছর গাড়ির কাগজপত্র সম্পূর্ণ নিখুঁত রেখেছেন এবং ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তিনি আল্লাহর নামে গাড়ি স্টার্ট করেন। তিনি বিয়ে করেন তাঁর মায়ের পছন্দমতো। জীবনে শপথ নেন, সন্তানদেরকে সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করাবেন। দুই ছেলেই নামকরা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা ইঞ্জিনিয়ার। মেয়ে দু’টোকে এম.এ পাস করিয়ে শিক্ষিত ছেলে দেখেই বিয়ে দিয়েছেন। তিনি আজ রীতিমতো দাদা- নানা। নিজের শতবর্ষী মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা বাসায় থাকেন। বাসা ভাড়া দেন ২৬ হাজার টাকা।
৩. যোগ্যতা / Hard Skills:
অষ্টম শ্রেণী পাস। সাথে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের অধিকারী।
৪. সেবা দানের মানসিকতা :
তাঁর দৃষ্টিতে, মালামাল উঠাতে খুব যত্ন করে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। সেবার মান সর্বোচ্চ করলে ক্লায়েন্টকে বলতে হয় না..এমনিতেই একটু বাড়িয়ে দেন। এই দে’য়া খুশি হয়ে অন্তর থেকে দে’য়া। নিজে চাইতে গেলে ছোট হতে হয়। চাওয়া অসুন্দর কাজ। তাই তিনি কখনো চেয়ে অতিরিক্ত কারো কাছ থেকে কিছু আদায় করেন না। খুশি মনে দিতে চাইলেও অনেক সময় ফেরত দেন। ক্লায়েন্ট হাসিমুখে এক কাপ চা খাওয়ালে সেটা নাকি হাজার টাকার চাইতেও দামী।
৫. দক্ষতা :
পেশায় তাঁর দক্ষতা ষোলআনা। অল্প একটু জায়গাতে তিনি ফার্নিচার এমন সুন্দরভাবে গুছিয়ে রেখেছেন যা সত্যিই বিস্ময়কর। পেশায় মুন্সিয়ানা অর্জিত না হলে তা কখনো সম্ভব হতো না।
৬. সততা :
রাস্তা যত ফাঁকাই থাকুক না কেনো সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটারের উপরে তিনি লোড গাড়ি চালান না। জোরে চালালে মালামালের ক্ষতি হয়। ফার্নিচারের ফিটনেস দুর্বল হয়। দাউদকান্দি আসার পর আকাশে এক চিলতে কালো মেঘ দেখে তিনি গাড়ি থামালেন। বললেন, স্যার আপনি বসুন ! আমি তেরপাল দিয়ে ফার্নিচার ঢেকে শক্ত করে বেধে রেখে আসি। বৃষ্টি হলে ফার্নিচার ভিজে রং উঠে যাবে। আমি বললাম: মনে হয় বৃষ্টি হবে না। তিনি বললেন, না স্যার ! যদি বৃষ্টি আসে আপনি আমাকে দায়ী করতে পারবেন না ঠিকই; তবে ফার্নিচারের ক্ষতি হবে। তিনি তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করলেন। অথচ বৃষ্টি আসেনি। আমি বললাম, ‘বৃষ্টি তো আসলো না, তবুও তেরপাল দিলেন’। বললেন, স্যার আমাদের তো মাত্র ১০ মিনিট সময় নষ্ট হয়েছে। এই ১০ মিনিটের জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারতো।
৭. নেতৃত্ব :
একটি পদে তিনি ট্রাক ইউনিয়ন সমিতির কয়েকবারের নির্বাচিত নেতা। ঢাকা শহরের এক সময় ৭৭টি প্রসিদ্ধ মদের বার ছিল। বিভিন্ন কারণে সেখানে তাকে যেতে হয়েছিল বটে; মায়ের নিষেধাজ্ঞার দোহাই দিয়ে তিনি এসব পান করা থেকে বিরত ছিলেন।
৮. বিরোধ মীমাংসা :
তিনি তার পূর্ণ পেশাদারিত্ব মনোভাব দিয়ে বিরোধ মীমাংসা করতেন। তিনি যে পদে নির্বাচিত হতেন সেই পদের নামই ‘বিরোধ মীমাংসা। তিনি তার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং সুন্দর মনোভাব দিয়ে যেকোনো বিরোধকে শান্তিপূর্ণ মীমাংসার পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন। তিনি ভাল মানের একজন arbitratorও বটে।
৯. সময় সচেতনতা :
তিনি ভোর চারটায় আমাদের বাড়িতে এসেই আমাকে কল দিলেন। বললেন, স্যার গাড়ি লোড করতে ঘন্টাখানেক লাগবে। ফজর পড়েই রওনা দিতে পারবেন। সকালের কাজে বরকত হয় ভালো। কুমিল্লা এসে আমরা নাস্তা করলাম। দাউদকান্দি এসে চা খেলাম। নাস্তা এবং চা খাওয়া ওনার সর্বোচ্চ ২৫ মিনিট লাগলো।
১০. সংস্কৃতিমনা/রুচিবোধসম্পন্ন:
বললেন, স্যার গান শুনবেন; না ওয়াজ শুনবেন? মাঝে মাঝে ঘুম আসে তো.. তাই। বললাম; আপনার ইচ্ছামত চালান। তিনি চালালেন মুজিব পরদেশীর বাছাই করা গান। দেখলাম,রুচিবোধ আছে। পরে দিলেন ওয়াজ। ওনার আধুনিক রুচিবোধ সত্যিই অবাক করার মতো।
১১. সৌজন্যতা:
নাস্তা এবং চায়ের বিল তিনি পরিশোধ করতে অফার করলেন। বললাম, না …..তা কেনো? বললেন, ‘আমরা কি আপনাদেরকে খাওয়াইতে পারি না’? আমরাও তো আপনাদের মাধ্যমে ২-৪ পয়সা ইনকাম করি।
১২. যোগাযোগ:
তিনি বলেন, স্যার ! আমার কাজ পেতে অসুবিধা হয় না, আল্লাহর রহমতে। এই যে মনে করেন, আমি যদি সুন্দরভাবে আপনার মালামালগুলো ঘরে তুলি দিই। ভাড়া নিয়ে কাবজাব না করি। তাহলে দেখবেন আপনি আমার সাথে পরবর্তীতে যোগাযোগ করবেন। আমি কারো ক্ষতি করি না। তাই আমার ক্লায়েন্টয়ের অভাব হয় না। নিজে না পারলে আমি অন্য ভাল ড্রাইভার দেখে ক্লায়েন্টের মালামাল পার করিয়ে দিই। বুঝতে আর বাকি রইল না তিনি একজন ‘Heart touching communicator’.
১৩. দলগত কাজ:
তিনি দলের সাথে কাজ করেন। সৎ মানুষদেরকে সবাই অন্যরকম শ্রদ্ধা করে থাকে। কে বলছে ড্রাইভিং পেশার সৎ থাকা যায় না? তিনি তাঁর টিমের লোকদের নিয়ে বাসায় দাওয়াত করে খাওয়ান। হালাল জিনিসগুলো সবাই একসাথেই খান। সবার পারিবারিক খোঁজ খবর রাখেন। এবং ছেলেমেয়েদেরকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে নিজেকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।
১৪. চাপের মধ্যে কাজ করার ক্ষমতা:
কাজের চাপ বেশি হলে নেশা করতে হয়, এটা সম্পূর্ণ একটি ভুয়া কথা। উনার এবং উনার ছেলের মালিকানায় কয়েকটি ট্রাক আছে। নেশা করার কারণে কয়েকজন ড্রাইভারকে পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করার অভিজ্ঞতাও তিনি বর্ণনা করেন। তার ভাষ্য, সময় মতো ভালো খাবার, নামাজ, ওয়াজ ও গান চাপ কমানোর উত্তম ব্যবস্থাপত্র।
১৫. খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা ও ইতিবাচক মনোভাব:
তিনি বললেন, আমি ড্রাইভার। আমার পুত্রবধূ অতি উচ্চ শিক্ষিত। ইঞ্জিনিয়ারের ওয়াইফ। আমার মা এবং স্ত্রী তো সেকেলের। তাই আমরা পুত্রের বাসায় কিছুটা হলেও বেমানান বোধ করতাম। যদিও পুত্রবধূ কিছু বলেনি, তবুও আমরা নিজের বাসা নিয়ে আলাদা থাকি। মাসে দুইবার ওরা বেড়াতে আসে । আমরা দুইবার বেড়াতে যাই। সবার সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে পারাটাই আনন্দের। দূরে থাকলে সম্পর্কগুলোতে সমস্যার সৃষ্টি হয় না।
১৬. No multitasking :
একসাথে অনেকগুলো কাজ হাতে নেওয়া খুবই বিব্রতকর একটি ব্যাপার। কাজ হাতে এসে গেলে প্রায়োরিটির ভিত্তিতে করতে হয়। কয়েকবার ওনার ফোন বেজে ওঠে। তিনি ফোনের দিকে তাকিও দেখেননি। ট্রাফিক আইনে বিষয়টি কড়াকড়িভাবে নিষিদ্ধ। অবশ্যই তিনি পথে চা নাস্তা কিংবা গাড়ি থামিয়ে প্রয়োজনীয় ফোন সেরে নেন।
উপসংহার: যথারীতি বাসায় মালামাল উঠানো হলো। আমি ওনাকে বাসায় এসে ফ্রেস হতে বলি। তিনি সাদা একটি নতুন লুঙ্গি নিয়ে তৃপ্তিরসাথে অনেকক্ষণ ধরে গোসল করলেন। রাত-দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ধকল যেনো এক গোসলেই দূর হয়ে যায়। হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় আমাকে বললেন, স্যার এবার আসি। আমি বললাম, না খেয়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। বাড়ি থেকে কোরবানির গোশত রান্না করে নিয়ে এসেছি। সব রেডি। তিনি ইতস্তুত বোধ করলেন। খাওয়া শেষ করে চলে যেতে উদ্ধত হলে আমি পকেটে হাত দিলাম কিছু বকশিশ দেওয়ার জন্য। তিনি করজোড়ে মাফ চাইলেন। আমি মাফ করলাম না। শুধু এক কাপ কফি খাবার টাকা জোর করে হাতে গুজিয়ে দিলাম। …
জামাল ড্রাইভারের ১ থেকে ১৬ টি গুণের মধ্যে Hard Skill মাত্র একটি। আর বাকিগুলো তাঁর Soft Skills. এগুলো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নয়। তিল তিল করে নিজের জমানো অভ্যাসের সমষ্টি।
ড. মুহাম্মদ ওমর ফয়সল CSAA, CIPA