জাককানইবিতে ‘আউটকাম বেজড কারিকুলাম’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ

জাককানইবি প্রতিনিধি।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনস্থ দুইটি বিভাগের জন্য আউটকাম বেজড কারিকুলাম শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ ও স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের শিক্ষকরা অংশ নেন।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, বর্তমান শতাব্দীতে শিক্ষাক্ষেত্রে সারা বিশ্বে একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। আমাদের সবকিছুতে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আনা দরকার। বিশেষ করে শিক্ষকদের আধুনিক যুগের শিক্ষার চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করতে হয়। একজন যদি ভালো রেজাল্ট করে মনে করেন আমি একজন ভালো শিক্ষক হয়ে যাবে সেটি ঠিক নয়।

এ সময় উপাচার্য উদাহরণ হিসেবে একটি স্মার্টফোন তুলে ধরে উদাহরণ দিয়ে বলেন, এখন প্রতিটি ছাত্রের হাতে একটা করে স্মার্ট ফোন থাকে। স্মার্ট ফোন ব্যবহারের দ্বারা ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগত তার সামনে উন্মুক্ত। ছাত্রছাত্রীদের কাছে প্রচুর রেফারেন্স এসে গেছে। ইন্টারনেটে দেখে বা খোঁজ করে সে যেকোনো সময় যেকোনো বিষয়েই শিক্ষককে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। তাই কোনো শিক্ষক যদি ক্লাসে একদিন পারফর্ম করতে ব্যর্থ হন, দুদিন ব্যর্থ হন তাহলে কিন্তু তৃতীয়দিন তিনি আর ক্লাসে দাঁড়ানোর জন্য মনের শক্তি পাবেন না। এই চ্যালেঞ্জগুলো কিন্তু এখনকার শিক্ষকদের সামনে এসে গেছে। যা আজ থেকে ত্রিশ, চল্লিশ বছর আগের শিক্ষকদের ততটা ছিল না।

Post MIddle

শিক্ষানীতি, কারিকুলাম, সিলেবাসের মধ্যকার পার্থক্য তুলে ধরে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, শিক্ষানীতি, কারিকুলাম ও সিলেবাসের মধ্যে কিন্তু পার্থক্য আছে। অনেকে কারিকুলাম ও সিলেবাসকে এক করে ফেলেন। কিন্তু সেটি ঠিক নয়। বর্তমান সরকার নতুন শিক্ষানীতি দিয়ে দিয়েছেন। সেই নীতি অনুসারে আমাদের কারিকুলাম ও সিলেবাসকে পরিবর্তন করতে হবে। বিভাগগুলোর সিলেবাসে বিভাগের মূল বিষয়টি অক্ষুন্ন রেখে কম্পিউটার, তথ্য-প্রযুক্তির দক্ষতার বিষয়গুলো যুক্ত করে দিতে হবে। আর এসকলের সঙ্গে সবার আগে শিক্ষকদের অভ্যস্ত হতে হবে। আধুনিক যুগের শিক্ষকতার এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই শিক্ষকদের ট্রেনিং দরকার। শিক্ষকদের এইসব ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বেব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি পরিচালক ড. মো. রাশিদুল ইসলাম শেখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা।

পছন্দের আরো পোস্ট