ইবি লোক প্রশাসন বিভাগের ১ম পুনর্মিলন অনুষ্ঠান

“দক্ষ মানব সম্পদ গড়ব’ সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করব” এ স্লোগানকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ১ম পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১১ টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। সরকারের শিক্ষানীতির মধ্যে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার একটি নির্দেশনা রয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠায় আমরা কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও বর্তমানে তার পরিপূর্ণতা পেতে চলেছে। এখন প্রতিটি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করছে। এটি প্রতিষ্ঠার ফলে অ্যালামনাইদের নিকট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় তথা বিভাগগুলো বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা পাবে।

এছাড়াও বর্তমান শিক্ষার্থীরা সাবেক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে উপকৃত হবে। লোক প্রশাসন বিভাগের ১ম পুনর্মিলন আয়োজক কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) প্রফেসর ড. নাসিম বানু, ইবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ কে এম মতিনুর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ ফকরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ আসিক এ খোদা ও শাম্মি আক্তার অন্তরা। জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। শুরুতে লোক প্রশাসন বিভাগের উপর একটি ডকুমেন্টারি পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানে লোক প্রশাসন বিভাগের প্রয়াত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন এবং বিভাগের দায়িত্বপালনকারী সকল বিভাগীয় সভাপতিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পূর্বে সকাল ১০টায় লোক প্রশাসন বিভাগ চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। সর্বশেষ সাংগঠনিক সভা, র‌্যাফেল ড্র ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নতুন-পুরাতন শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠানটি মিলন-মেলায় পরিণত হয়।