নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো হাল্ট প্রাইজের সেমিফাইনাল
ষষ্ঠবারের মতো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) হাল্ট প্রাইজের সেমিফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৩-২৪ সেশনে প্রতিযোগিতার প্রতিপাদ্য ছিল ‘আনলিমিটেড’। জাতিসংঘের ‘সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’র ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার দিকনিদের্শনা অনুযায়ী বিভিন্ন দল অংশ নেয় এ প্রতিযোগিতায়।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় সেমিফাইনালের আয়োজন সম্পন্ন হয় জাককানইবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের মার্কেটিং বিভাগের কক্ষে। এসডিজি-১৭ লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে ১০টি দল এ সেমিফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেয়।
আয়োজনের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে ডেপুটি ক্যাম্পাস ডিরেক্টর বেলাল আহমেদ শাওন প্রতিযোগী দলগুলোকে আইডিয়া উপস্থাপনের নিয়ম জানিয়ে দেন। প্রতিটি দলের আইডিয়া উপস্থাপনে ৬ মিনিট এবং বিচারকদের প্রশ্ন-উত্তরে ৪ মিনিট সময় বরাদ্দ ছিল।
জাতিসংঘের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্টের সতেরোটি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নিজেদের অনন্য সব সামাজিক ব্যবসা আইডিয়া উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণ উদ্যোক্তরা। প্রথম রাউন্ডে সাবমিট করা ৫৯টি আইডিয়া থেকে সেরা ১০টি বিজনেস আইডিয়া নিয়ে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চন্দন কুমার পাল, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল মোমেন, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মিনহাজ উদ্দীন এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জনি।
বিশেষত ৫০০ শব্দে আইডিয়া উত্থাপনের মাধ্যমে প্রাথমিক বাছাইপর্ব শেষে সেমিফাইনাল রাউন্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছে দশটি দল। যথাক্রমে টিম ডিজিটাল মাসকিটার্স, টু পয়েন্ট এইটও, টিম রিডাক্টেড, টিম অষ্টধাতু, টিম স্পিয়ারহেড, টিম গ্লেডিয়েটরস, রেয়ার-৫, অর্গানিক ইনোভেটর্স, দ্য ফ্যালকন, টিম কোর্স্যালো। আয়োজন সফলভাবে শেষ করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করছেন ক্যাম্পাস ডিরেক্টরের নেতৃত্বে একটি উদ্যমী অর্গানাইজিং কমিটি।
হাল্ট প্রাইজ হলো একটি বার্ষিক ব্যবসায় আইডিয়া প্রতিযোগিতা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। খাদ্য নিরাপত্তা, পানি, শক্তি এবং শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়জনিত সমস্যার সমাধান নিয়ে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং গ্লোবাল রাউন্ডে বিজয়ী দলকে পুরস্কৃত করা হয় ১ মিলিয়ন ডলার।