ড্যাফোডিলে নবান্ন উৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদক।
শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে ধেশজুড়ে চলছে আমন ধান কাটার মৌসুম। এ মৌসুমি ধান ঘরে তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। নতুন চালে তৈরি পিঠাপুলির আস্বাদনে কৃষকদের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে উৎসব। গতকাল ছিল হেমন্ত ঋতুর প্রথম দিন, পহেলা অগ্রাহায়ন। হেমন্ত ঋতুকে বরণ করে নিতে বাঙালি চিরায়ত আনন্দ ধারাকে ফুটিয়ে তুলতে গতকাল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পালিত হয় নবান্ন উৎসব।
এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বনমায়া’য় উৎসবের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য ও উদ্যোক্তা অনুষদেও ডীন প্রফেসর ড. মোঃ মাসুম ইকবাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন এলাইড হেলথ সায়েন্সস অনুষদেও ডীন প্রফেসর ড. বেলার আহমেদ ও স্টুডেন্ট এফেয়ার্সেও পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান।
এ উপলক্ষে বনমায়া থেকে একটি শোভাযাত্রাক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। এ ছাড়া পিঠাউৎসব, বাঙালির খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কারের আয়োজন করা হয়।
নবান্ন উৎসব ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সাজানো হয় বাঙালীর আবহমান সাজে। এ উৎসবে অংশ নিতে সকাল থেকেই শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সমাগম শুরু হয়। ছোট পিঠার স্টলগুলোতে সাজানো হয় হরেক রকমের পিঠার পসরা। এসবে চন্দ্রপলি, হৃদয় হরন, জামাই পিঠা, , কুশলী পিঠা, নকশি পিঠা, পাটিসাপটা, দুধপলি, গোলাপ পিঠা, রসভোরি ও বিস্কুট পিঠাসহ বাহারি নামের সব পিঠা দেখা যায়। সঙ্গে ছিল ফিরনী পায়েস, মোহন ভোগ ও দুধ গোকুলসহ নানা ধরনের মিষ্টান্ন। নবান্ন উৎসব নিয়ে সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও কমিউনকেশ বিবাগের শিক্ষাথী সাবনা ইয়াসমিন লাবনী বলেন, প্রতি বছর আমাদেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। এবছরও করা হয়েছে। দিনটি আমরা উৎসব মুখর পরিবেশে কাটাই। এবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদেও অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম ছিল।