ড্যাফোডিলে সাইকেল জনপ্রিয়করণ কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) পরিবেশবান্ধব সবুজ ক্যাম্পাসের সুনাম আরো অনেক আগেই দেশের পরিধি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার সে সুনামকে সুসংহত করার জন্য তার সাথে যুক্ত হলো পরিবেশবান্ধব পরিবহন সাইকেল।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থী ও প্রায় ৩ হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলকে দূষণমুক্ত যান হিসেবে সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহী ও অভ্যস্ত করে তোলার লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস জুড়ে ভিন্ন আঙ্গিকের এক নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ (১২ আগস্ট ২০২৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুলিয়া ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘আরএফএল বাইক’ বিনামূল্যে একশ’ সাইকেল দিয়ে এ কর্মসূচিকে সহায়তা করছে।

ডিআইইউ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাইকেল জনপ্রিয়করণের আজকের এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মাসুদুর রহমান। স্মআনিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিআইইউর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। ডিআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘প্রাণ বাইকে’র মূখ্য পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মো. মোশতাক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আরএফএল –অধরএমআইএল ঁ বাইক এর হেড অফ মার্কেটিং মোঃ শরীফুল ইসলাম ও ডিআইইউর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনোভেশন সেন্টারের (আইআইসি) প্রকল্প পরিচালক আবু তাহের খান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে ড. মাসুদুর রহমান বলেন, দক্ষ ও আদর্শ স্নাতক গড়ে তোলার পাশাপাশি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি যে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনেও যুক্ত হচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোমুগ্ধকর সবুজ ক্যাম্পাসের সুনাম ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের নানাস্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। এরসাথে দূষণমুক্ত বাহন হিসেবে আজ যে এখানে সাইকেল যুক্ত হলো, তা নিঃসন্দেহে এ ক্যাম্পাসকে ভিন্নতর নতুন মাত্রাদানে সক্ষম হবে। তিনি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এ পরিবেশবাদী আন্দোলনের ভূয়সী প্রশংসা করার পাশাপাশি এর শিক্ষার্থীদেরকে সারাজীবন ধরে ধরণী, মানুষ ও পরিবেশের পক্ষে অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান।

Post MIddle

সম্মানিত অতিথির ভাষণে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, ডিআইইউ ক্যাম্পাসকে আমরা শুধু বাহ্যিকভাবেই দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে চাচ্ছি, তা নয়। আমরা এখানে অবস্থানকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের মননকেও পরিবেশের প্রতি মমতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে চাচ্ছি। আমরা আশাবাদী যে, এখানকার শিক্ষার কারণেই এখান থেকে পাশ করে শিক্ষার্থীরা সারাজীবন ধরে দূষণমুক্ত মানবিক পৃথিবীর পক্ষে কাজ করে যাবে। এ ব্যাপারে তিনি রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক, সমাজের সচেতন মানুষ ও পরিবেশের প্রতি সহানুভূতিশীল অন্য সকলের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করে বলেন যে, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসকে আমরা সারা পৃথিবীতে সবুজ ক্যাম্পাসের অনন্য প্রতিনিধি হিসেবে দাঁড় করাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষার্থীদেরকে শুধু পুঁথিগত জ্ঞানই দিচ্ছে না, তাদেরকে আদর্শ ও সামগ্রিক চেতনাবোধসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্যও আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশাবাদী যে, ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা আগামীদিনে পুরো সমাজকেই বদলে দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

আরএফএল বাইকের সিওও মোঃ মোশতাক চৌধুরী বলেন, দক্ষ ও আদর্শ স্নাতক গড়ে তোলার পাশাপাশি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি যে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনেও যুক্ত হচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ড্যাফোডিলের সবুজ ক্যাম্পাসে দূষণমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির এ আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকতে পেরে আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। এরসাথে দূষণমুক্ত বাহন হিসেবে আজ যে এখানে সাইকেল যুক্ত হলো, তা নিঃসন্দেহে এ ক্যাম্পাসকে ভিন্নতর নতুন মাত্রাদানে সক্ষম হবে। তিনি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এ পরিবেশবাদী আন্দোলনের ভূয়সী প্রশংসা করার পাশাপাশি এর শিক্ষার্থীদেরকে সারাজীবন ধরে ধরণী, মানুষ ও পরিবেশের পক্ষে অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন,প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ সবসময়ই পরিবেশের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা জেনে থাকবেন যে, এ ব্যাপারে আমাদের সুনির্দিষ্ট ও ব্যাপকভিত্তিক কর্মসূচি রয়েছে। ভবিষ্যতেও আমরা ড্যাফোডিলের পরিবেশ ও শিক্ষার্থী-সহায়ক বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত থাকার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ডিআইইউ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য রেলিতে অংশগ্রহণ করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট