চবিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত

বিভিন্ন কর্মসূচি ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩’ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এর নেতৃত্বে চবি শহীদ মিনার চত্বর থেকে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য র‌্যালি। র‌্যালিটি চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে শেষ হলে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) বেলুন ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) উপস্থিত সকলকে সাথে নিয়ে নারী দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জে-ার বৈষম্য করবে নিরসন’ শীর্ষক আলোচনা সভা।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। আলোচনা সভায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যান এর ডাইরেক্টর অব এডমিশনস রেহানা আলম খান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডাঃ সাহানারা চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট শামীমা ফেরদৌস মিলি।

আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং অতিথিবৃন্দকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. নাজনীন নাহার ইসলাম এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লাইলুন নাহার।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সনবৃন্দের জীবনী পাঠ করেন চবি বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শারমিন মুস্তারী, চবি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শারমিন সুলতানা, চবি প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সোনম আকতার এবং চবি মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব তানিয়া করিম। অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সংগীত পরিবেশিত হয় এবং চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক জনাব তাসলিমা আকতার কবিতা আবৃত্তি করেন।

উপাচার্য তাঁর বক্তব্যের শুরুতে উপস্থিত সকলকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্ব ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অবদান রেখে চলেছেন।

তিনি বলেন, দেশকে স্বনির্ভর এবং আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হলে জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। উপাচার্য আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশের ফলে তথ্যের অবাধ প্রবাহ জনগণকে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর ফলে দেশের সকল স্তরের জনগণ বিশেষকরে নারীরা অধিকতর সচেতন হতে সক্ষম হয়েছে। পুরুষশাসিত সমাজে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সমাজে নারী-পুরুষ বৈষম্য দুরীকরণ, কর্মক্ষেত্রে সমঅধিকার, মতামত প্রদানের স্বাধীনতা, নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয়ে নারীরা পূর্বের চেয়ে এখন অধিকতর সচেতন। উপাচার্য আরও বলেন, পিছিয়েপড়া নারী জনগোষ্ঠিকে মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করতে হলে ডিজিটাল প্রযুক্তির ঠিক ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।