পাবিপ্রবিতে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপককে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস-এর বিদায়ী সংবর্ধনা ৭ মার্চ বিকাল তিনটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মোস্তফা কামাল খান, বিজ্ঞান অনুষেেদর ডিন অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল আলম এবং সম্মানীত অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহম্মেদ।

বিদায়ী শিক্ষককে রসায়ন সমিতির পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সেই সাথে প্রতি ব্যাচ থেকে উপহার প্রদানের মধ্য দিয়ে অ্যাকাডেমিক ভবনের গ্যালারি ২ তে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগের শিক্ষক রতন কুমার পাল, প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন, বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

Post MIddle

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তরুণদের স্বপ্ন দেখা এবং স্বপ্ন দেখাতে হবে। তোমাদের মাধ্যমেই দেশ আগাবে। সময়কে কাজে লাগানো এবং সময়ানুবর্তী হতে হবে। নিজেকে প্রশ্ন করা, যে আমি শুদ্ধ আছি কিনা, নিজেকে শুদ্ধ করে, ভুলগুলো শুধরাতে হবে। তিনি বিদায়ী শিক্ষক সম্পর্কে বলেন, আপনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলো জ্বালাতে পেরেছেন, এই আলো আপনার শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনে ধারণ করবে। আপনার দেখানে পথে তারা এগিয়ে যাবে। তিনি বিদায়ী শিক্ষকের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সুন্দর জীবন কামনা করেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, শিক্ষকরা কখনো অবসর গ্রহণ করেননা। তারা সারাজীবনই শিক্ষক এবং তরুণ। শিক্ষকরা আমাদের আদর্শ ও পথ প্রদর্শক। আদর্শ শিক্ষকের দেখানো পথেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের সময়কে কাজে লাগাতে হবে।

বিদায়ী শিক্ষক রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, সময়ের ব্যাপারে তোমাদের সচেতন হবে। সময়কে কাজে লাগাতে হবে। যেকোনো খারাপ কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে দূরে রাখবে। তিনি বিভাগের এমন ভালোবাসার নিদর্শনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

বিভাগের চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিসহ সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন হোসেন।

পছন্দের আরো পোস্ট