ডুয়েট ডে- ২০২২ উদযাপিত

ডুয়েট প্রতিনিধি।

উৎসবমুখর পরিবেশ ও বিভিন্ন আয়োজনে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর ১৯তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ডুয়েট ডে-২০২২ উদযাপিতহয়েছে। ‘টেকসই প্রযুক্তির বিকাশ/ উন্নত স্বনির্ভর বাংলাদেশ’এই শ্লোগানকে উপজীব্য করে আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে রঙিন বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ডুয়েট ডে-র শুভ উদ্বোধন করা হয়। এসময় একটি আনন্দ র‌্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং কেক কাটা হয়। এর আগে সূর্যোদয়ের সময় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

ডুয়েট ডে’ উপলক্ষ্যে বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ। মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি ডুয়েট ডে’ উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে টেকসই উন্নয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা ও চর্চার কোনো বিকল্প নেই। তাই আগামীতে জ্ঞানভিত্তিক ও বিজ্ঞান মনস্ক মানবিক সমাজ গঠন করতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত নতুন শিক্ষা পদ্ধতি হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ ও যুগোপযোগী গ্রাজুয়েট হিসেবে শিক্ষার্থীদেরকে প্রস্তুত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

Post MIddle

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য একাডেমিক-ইন্ডাস্ট্রি পর্যায়ে কোলাবোরেশনের উপর গুরুত্ব প্রদান করেন। এছাড়া তিনি বলেন, জাতির পিতার নির্দেশনা অনুযায়ী মেধাবীদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দারিদ্রতা যাতে কোন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। তিনি স্বাধীন, মুক্ত চিন্তা, মানবিক ও নৈতিক গুন সম্পন্ন মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে ওঠার জন্য আহ্বান জানান।

তিনি ডুয়েটের গ্রাজুয়েটদের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, তারা দক্ষতা, মেধা, সৃজনশীলতা ও শ্রমের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলছে। দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প-কারখানা, গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা সাফল্যের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেভাবে উজ্জ্বল করে চলছে, তা আমাদের জন্য একইসাথে গৌরবের ও আনন্দের বিষয়।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস, ডুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি প্রকৌশলী মো. তাইবুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ডুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী বিনয় ব্যানার্জী, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল ডুয়েট ডে উপলক্ষে কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রীতি ভলিবল প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইলেকট্্িরক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজহারুল ইসলাম ও কেমিক্যাল অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ড. মাহবুবা জান্নাত। এ অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের গণ্যমান্য অতিথিবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট