বন্যা দুর্গতদের পাশে ‘হার্ট ফর হিউম্যানিটি’

নিজস্ব প্রতিবেদক।

সিলেটের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বিভিন্ন মহল। বিশেষ করে বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে তরুণ সমাজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও এর ৩৩টি ক্লাবের শিক্ষার্থীমহল সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় এক হাজারের অধিক বন্যাকবলিত পরিবারকে খাদ্যদ্রব্য, স্যালাইন, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ করে।

সম্প্রতি ঈদের ছুটিতে, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাল্টিমিডিয়া ও ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. শেখ মোহাম্মদ আল্ল্যাইয়ার ও উপ-পরিচালক কাজী মোঃ দিলজেব কবীরের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এক বিশেষ প্রতিনিধি দল এই ত্রান সামগ্রী বিতরণ করে।

সিলেট অঞ্চলের সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানাধীন ভীমখালি ইউনিয়নের বিছনা, কালিপুর, মির্জাপুর, চাঁনবাড়ি, মৌলিনগর, জাল্লাবাজ, কামলাবাজ, হাসনাবাজ, কুতুবপুর, ভীমখালি বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় ত্রান বিতরণ করে এই বিশেষ দল। চাল, ডাল, তেল, আলু পেয়াজ সহ নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সব খাদ্যসামগ্রী, মসলা, সাবান, শুকনো খাবার, প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধপত্র এই বিতরণ সামগ্রীতে ছিল।

Post MIddle

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে জানানো হয়, এটি একটি মানবিক ও সামাজিক দায়িত্ববোধের অংশ হিসেবে আমরা সিলেটবাসীর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। তবে, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও অনুপ্রেরণার ব্যাপার হলো আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো ছিল। তারা নিজেদের তাগিদেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে।

প্রায় দুইদিনের এই কার্যক্রম শেষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এই বিশেষ দল এখন ঢাকা পৌছেছে। সিলেটের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির চাক্ষুষ বর্ণনা দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তারা এই সামাজিক কার্যক্রমকে চলমান কার্যক্রম হিসেবে রাখবে।

ইভেন্টির নাম দেওয়া হয় ‘হার্ট ফর হিউম্যানিটি’। ‘হার্ট ফর হিউম্যানিটি’ ইভেন্ট শুরু হয় গত ১৯ জুনে যার ব্যাপ্তিকাল ছিল ১১ দিন যার নেতৃত্বে প্রদান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন ক্লাবের সমস্যবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, “সবকিছুর পর আমাদের সবার ত্যাগ ও শ্রমের বিনিময়ে আমরা সফল হয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। এত বড় একটা ইভেন্টে আমরা কাজ করার সুযোগ পেয়েছি যার অভিজ্ঞতা আমাদের ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। আর এই শ্রমের উত্তম বদলা নিশ্চয়ই আল্লাহ দান করবে।”

পছন্দের আরো পোস্ট