বাকৃবিতে অনুষ্ঠিত হলো বিসিএস ক্যাডার হওয়ার গল্প

রায়হান আবিদ।

বর্তমান বিশ্বে নিজের পছন্দ মত ক্যারিয়ার গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত দক্ষতা। এছাড়া চাকরির সিভি থেকে শুরু করে নিজেকে ইন্টারভিউতে প্রদর্শন করা তো আছেই। এসব যেমন এক দিনের সাধনায় হয়ে ওঠে না তেমনি প্রচুর পরিশ্রম ও ধৈর্যের বিনিময়ে নিজ লক্ষে পৌছিয়েছে হাজারো তরুণ। বর্তমানে ক্যারিয়ারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনকে (বিসিএস) বেছে নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা ।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের মাঝেও দিন দিন বিসিএসের প্রতি ঝোঁক বেড়েই চলছে। এখানে টেকনিকাল ক্যাডারের পাশাপাশি প্রসাশন, পুলিশ, শুল্ক ও আবগারীর মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ সরকারের কর্ম কমিশনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রতিনিয়ত সাফল্যের সাথে অবদান রাখছে তাঁরা।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যরিয়ার ক্লাবের (বাউসিসি) সহযোগীতায় বিসিএস ক্যাডারদের ক্যারিয়ার গড়ার গল্প নিয়ে আয়োজিত হয়েছে ‘রোড টু বিসিএস’ । লজেন্সের প্রযোজনায় প্রায় পাচঁ শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়নাল আবেদীন মিলয়াতনে অনুষ্ঠানটি হয়েছে।

Post MIddle

বাউসিসির সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নিল আহমেদ জাহিন বলেন, ‘অনুষ্ঠানটির উদ্দেশ্য হলো বিসিএস ক্যাডারদের সাথে বাকৃবির শিক্ষার্থীদের সংযোগের ব্যবস্থা করা ও তাদের মাঝে বিসিএস কেন্দ্রীক সকল তথ্য জানানো। যাতে করে সকলের মাঝে প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাব জাগে। ফলে তারা সামনের দিনগুলোতে নিজেদের কিভাবে প্রস্তুত করবেন তার একটি স্পষ্ট ধারনা পাবেন।’

বাকৃবির প্রক্তন অনেক শিক্ষার্থীরা বর্তমানে দায়ত্ব পালন করছেন বিসিএস ক্যাডার হিসেবে। তাদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা সদরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (৩৩ম) আবদুল্লাহ আল মাহামুদুন নূর, ফুলপুরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (৩৮ম) মো. কামরুল হাসান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের ভেটেরিনারি সার্জন (৩৩ম) ডা. তানজিলা ফেরদৌসী এবং তারাকান্দার ভেটেরিনারি সার্জন (৩৪ম) ডা. নাহিদ নাওরীন কান্তা। তারা কিভাবে বিসিএস ক্যাডার হবার ইচ্ছাকে বাস্তবে পূরণ করেছেন, তাদের অভিজ্ঞতা, মনোবল, দায়িত্ববোধ নিয়ে আলোচনা করেন। ক্যারিয়ার পড়তে কেন বিসিএসকে বেছে নিলেন তার এক সুন্দর গল্প শুনান তারা।

এছাড়া অতিথি হিসেবে ছিলেন বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ।

পছন্দের আরো পোস্ট