ড্যাফোডিলে ঐতিহ্য চর্চায় “ঐতিহ্যের হাট”

নিজস্ব প্রতিবেদক।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চর্চায় এবং একই সাথে শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে অনুপ্রেরণা জোগাতে “ঐতিহ্যের হাট, ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ” শিরোনামে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়ার গ্রীন ক্যাম্পাসে দিনব্যাপি এক বিশেষ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়; যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই বিভিন্ন স্টলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সকল ঐতিহ্যবাহী ও গ্রামীন সংস্কৃতি, খাবার ও পণ্য উপস্থাপন করে। জমকালো এই আয়োজনের প্রধান আয়োজক ছিল ডিআইইউ-এর ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ বিভাগ।

দিনের প্রথমভাগে আয়োজনের উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান, একাডেমিক এফেয়ার্সের ডিন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল, বিজনেস এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাসুম ইকবাল, ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো: কামরুজ্জামান, রিয়েল এস্টেট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আমির আহমেদ সহ অন্যান্য ডিন, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তাবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।

উদ্বোধনী আয়োজনের বক্তব্যে ডিআইইউ-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান বলেন, আমাদের ঐতিহ্য রক্ষায় এই ধরনের আয়োজন প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা জরুরি। আমরা আমাদের শিকড় ভুলে কখনো উচ্চাসনে পৌছানো সম্ভব না। এই বিশাল আয়োজনকে সাধুবাদ জানানো এবং নিয়মিত অনুশীলন করাটা আমাদের কর্তব্য।

Post MIddle

ডিআইইউ-এর ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ বিভাগের আয়োজনে এই “ঐহিহ্যের হাট” মেলায় বাংলাদেশের ৬৪ জেলার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সামগ্রী ৪৫টি স্টলের মাধ্যমে প্রদর্শনী করা হয়। প্রায় ৩৯০ জন শিক্ষার্থী একযোগে এই প্রদর্শনীর স্টলে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বাংলাদেশের জানা-অজানা নানান ঐতিহ্যবাহী সামগ্রীর সাথে পরিচয় করানো এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন থেকেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠার হাতে-খড়ির ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো: কামরুজ্জামান।

চলমান আয়োজন পরিদর্শন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান এবং আয়োজনের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এইটা একটা বিরাট ব্যাপার যে আমরা এই প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতির চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছি। আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন করতে হবে, একই সাথে দেশের উন্নয়নে নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে ব্যবসা ও উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে।

আয়োজনের ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ বিভাগের পাশাপাশি সহযোগিতায় ছিল বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ, সোশ্যাল বিজনেস স্টুডেন্ট ফোরাম এবং ডিআইইউ-এর ক্লাব ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

পছন্দের আরো পোস্ট