নাতে রাসুলের ধ্বনিতে মুখরিত ইবি ক্যাম্পাস

ভারতে মুহাম্মদ (সা) ও আয়শা (রা) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করছে বাংলাশের মুসলমানরাও। শনিবার (১৮ জুন) মহানবী (সা) কে কটুক্তির প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে কর্মকর্তারা। এসময় কর্মকর্তাদের সম্মিলিত কণ্ঠে গাওয়া নাতে রাসূলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

মহানবীকে  (সা) নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বালা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে মানব্বন্ধন করেন কর্মকর্তারা। এতে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুটের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম ও কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ড. আ স ম শোয়াইব আহমদ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে প্রশাসন ভবন চত্ত্বর থেকে র‍্যালি শুরু করে কর্মকর্তারা। এসময় সম্মিলিত কণ্ঠে তালায়াল বাদরু আলাইনা ও কাশাফাত্তুজা বিজামালিহি সহ রসূল (সা) এর নামে নানা গজল গায় কর্মকর্তারা। তাদের গাওয়া নাতে রাসূলের সুরে মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারো প্রশাসন ভবন চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে দোয়া ও মুনাজাত করেন কর্মকর্তারা। মুনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ড. আ স ম শোয়াইব আহমদ।

মানববন্ধনে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন,  পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি আমাদের প্রাণের স্পন্দন। তাকে নিয়ে কেউ কটূক্তি করবে, এটা আমরা সহ্য করতে পারিনা। সম্প্রতি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মূখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম কর্মী নবীন কুমার জিন্দাল মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং মা আয়েশা (রা.) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা ভারত সরকারকে ফেৎনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র নূপুর শর্মা একটি টিভি টকশে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রদান করে। পরে বিজেপি দিল্লি মিডিয়া ইউনিটের প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল নুপূর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থন পূর্বক একটি বিবৃতি প্রদান করে। এতে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।