আইইউবিতে প্রথম ডিজিটাল ট্রেডিং ল্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দেশের প্রথম ডিজিটাল ফিনানশিয়াল ট্রেডিং ল্যাব চালুর উদ্দেশ্যে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড (এলবিএসএল)-এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)। রোববার (১২ জুন ২০২২) ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আইইউবির নিজস্ব ক্যাম্পাসে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এসবিএসএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী এবং আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান, পিএইচডি।

আইইউবির স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ-এর ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া কোলাবোরেশন ইনশিয়েটিভস-এর অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই ট্রেডিং ল্যাবটি। এলবিএসএল-এর বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা এবং আইইউবির ফিনান্স বিভাগের শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় এবং শেষবর্ষের বাছাইকৃত শিক্ষার্থীরা তাদের ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট কোর্সের অংশ হিসেবে এই ল্যাবে দেশের দুই শেয়ারবাজার ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এর কার্যক্রম হাতে কলমে শিখতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে বিও হিসাব খোলা এবং পরিচালনা করা, শেয়ার কেনাবেচা এবং লেনদেন, বাজার বিশ্লেষণ, ইত্যাদি। পাশাপাশি, এলবিএসএল-এর ওয়েব পোর্টাল এবং নিজস্ব কয়েকটি ট্রেডিং সফটওয়্যার ব্যবহারেরও সুযোগ পাবে আইইউবির শিক্ষার্থীরা।

আইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল হাই সরকার বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার আগেই হাতেকলমে বিভিন্ন বিষয় শিখতে পারে তাহলে পাশ করার পর তাদের জন্য ক্যারিয়ার শুরু করা সহজ হবে। এ কারণেই দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাত যেমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে।

Post MIddle

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ মঈন বলেন, একটি দেশের শিল্পায়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সেদেশের পুঁজিবাজারের নীবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আইইউবির সঙ্গে লংকাবাংলার এই নতুন অংশীদারিত্ব পুঁজিবাজার ছাড়িয়ে আরো বৃহত্তর পর্যায়ে সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করবে।

আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, আমাদের দেশের পুঁজিবাজারের আকার ছোট। ছোট পুঁজিবাজারে কিছু সমস্যা থেকেই যায়। এসব সমস্যা দূর করতে বিনিয়োগকারীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এতে করে বিনিয়োগে নামার আগে ঝুঁকির জায়গাগুলো তারা ভালোভাবে বুঝতে পারবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে, যা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে আমি মনে করি, এ ধরণের প্রশিক্ষণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই সবচেয়ে ভালো জায়গা কারণ এখানেই আমরা আমাদের ভবিষ্যতের কাণ্ডারীদের তৈরি করছি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আইইউবির সম্মানিত ট্রাস্টি জনাব তৌহিদ সামাদ; লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার সাফাত রেজা; আইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, পিএইচডি; স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপের (এসবিই)-এর ডিন অধ্যাপক মেহেরুন আহমেদ, পিএইচডি; এবং ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক সামিউল পারভেজ আহমেদ, পিএইচডি।

পছন্দের আরো পোস্ট