অ্যালামনাই আমৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেছেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে অ্যালামনাইয়ের ভূমিকা ও গুরুত্ব অনেক। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন সীমিত সময়ের জন্য। কিন্তু অ্যালামনাই আমৃত্যু। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরের জীবনটা উপভোগের জন্য অ্যালামনাইয়ের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি হয়। সেজন্য ইবি অ্যালামনাই বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ বন্ধন সৃষ্টির দায়িত্ব পালন করছে।

তিনি শুক্রবার রাতে রাজধানীর মিরপুরে সিটি মহল কনভেনশন সেন্টারে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দাওয়াহ্ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (DISAA)’ ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম সাজু আরও বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হবে আধুনিক জ্ঞান চর্চার তীর্থ স্থান। এখানে কোন ধর্মীয় গোড়ামী থাকবে না। গবেষণার মাধ্যমেই প্রমাণ করবো যে, ইসলামই মহান। এটাই ছিল আমাদের দাবি। সেই দাবি এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এজন্য আমরা খুবই খুশি।

Post MIddle

তিনি বলেন, ইবির শিক্ষার্থীরা এখন দেশ-বিদেশের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সব সেক্টরেই বিচরণ করছেন। একইভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ্ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরাও গবেষণাকর্মসহ বিভিন্ন সেক্টরে অনেক এগিয়ে আছেন। তাই এই বিভাগীয় অ্যালামনাইয়ের পাশাপাশি আমাদের ইবি সেন্ট্রাল অ্যালামনাইয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে একযোগে কাজ করতে হবে।

দাওয়াহ্ ইসলামিক স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপাতি প্রফেসর ড. শহীদ মোহাম্মদ রেজওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন, বিভাগের সাবেক সিনিয়র প্রফেসর ড. আবুল কালাম পাটওয়ারী। বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলিউল্লাহ, ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহবায়ক ও বিভাগীয় অ্যালামনাইয়ের জেনারেল সেক্রেটারি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইকবাল হোছাইন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন অ্যালামনাইয়ের যুগ্ন সম্পাদক ড. আব্দুল্লাহ আল মিজান ও ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত দাওয়াহ্ বিভাগের সিনিয়র ও জুনিয়র অ্যালামনাইবৃন্দ তাদের অনুভূতি ও প্রস্তাব তুলে ধরেন। ছিল আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্র এবং নৈশভোজ। অনুষ্ঠান শেষে বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ দেশ ও জাতির জন্য দোয়া কামনা করা হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট