যবিপ্রবিতে ‘আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস’ উদযাপন

যবিপ্রবি প্রতিনিধি।

আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, কেক কাটাসহ নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ‘আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস-২০২২’ উদযাপন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নার্সিং অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্স (এনএইচএস)’ বিভাগের উদ্যোগে এই দিবস পালন করা হয়।

যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে আলোচনা সভার মাধ্যমে ‘আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস ২০২২’-এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে কেককাটা ও আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। মানব সেবায় অনন্য দায়িত্বপালনকারী নার্সদের স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদর্শনের দিন হিসেবে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ১২ মে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়।

১২ মে আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ‘দ্য লেডি উইথ দ্য ল্যম্প’ নামে পরিচিত মহীয়সী নারী ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের জন্মদিনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের নার্সরাও যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধাভরে দিবসটি পালন করেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় শক্তিশালী নার্স নেতৃত্বের বিকল্প নেই-বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নার্সিং খাতে বিনিয়োগ বাড়ান ও নার্সদের অধিকার সংরক্ষণ করুন।’

Post MIddle

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. মেহেদী হাসান বলেন, নার্সিংয়ের মতো মহান পেশায় আসতে পারা, সৌভাগ্যের বিষয়। যেটি অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা সুযোগ পায় না। বিভিন্ন পেশায় কাজ করলে শুধু অর্থ পাওয়া যায়। কিন্তু নার্সিং পেশায় কাজ করলে অর্থের পাশাপাশি মানুষের দোয়া, ভালোবাসাও পাওয়া যায়। সুতরাং নার্সিং অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের হীনমন্যতায় ভোগার কোনো কারণ নেই। কারণ দেশ-বিদেশে এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবারিত সুযোগও রয়েছে।

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নাসিম রেজা বলেন, দেশের বাইরে যখন গিয়েছি তখন দেখেছি চিকিৎসক এবং নার্সদের মধ্যে বিস্তর কোনো পার্থক্য নেই। সবার ব্রত হচ্ছে মানব সেবা। আশা করি, সেবার সেই মহান ব্রত নিয়েই এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা যথাপোযুক্তভাবে গড়ে উঠবেন।

সভাপতির বক্তব্যে নার্সিং অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. তানভীর ইসলাম বলেন, নার্সিং একটি মহান পেশা। সেই পেশার দক্ষ জনশক্তি তৈরির কাজ করছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্স বিভাগ। এ বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি। আশা করি, ক্লিনিক্যাল প্রাকটিসের জন্য এ অঞ্চলের হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলো আমাদের শিক্ষার্থীদের আরও সুযোগ দেবে। একটি পরিবারের মতো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারমান ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, নার্সিং অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক শারমিন আক্তার সুমি, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোমিয়া সিনজালি, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুব আলম নীরব। শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে অনুষ্ঠানে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এর জীবনী পাঠ করেন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নার্সিং অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক অঞ্জন কুমার রায়।

পছন্দের আরো পোস্ট