যবিপ্রবির ১৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও ওরিয়েন্টেশন

যবিপ্রবি প্রতিনিধি।

নবীন শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘মানুষের কল্যাণে যা কিছু করতে চাও, তাহলে সব সময় তোমরা আমাদের পাশে পাবে। যদি তোমাদেরকে কেউ অন্যায়ভাবে ব্যবহার করতে চায়, আমার দরজা তোমাদের জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা।

আজ সোমবার দুপুরে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ওরিয়েন্টেশন ও ১৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন। ২৫ জানুয়ারি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হলেও করোনার কারণে গৃহীত কর্মসূচি স্থগিত ছিল। করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় নবীনদের কেন্দ্রীয় ওরিয়েন্টেশন ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে একসাথে অনুষ্ঠান করা হলো।

Post MIddle

আলোচনা সভায় অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, মাথাপিছু যদি গবেষণা ধরা হয়, তাহলে আমরা বাংলাদেশে এক নম্বর। তবে এই এক নাম্বরকে ধরে রাখার দায়িত্ব এখন আমাদের উপর, তোমাদের উপর। একটা বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছু নির্ভর করে তাঁর শিক্ষার্থীদের উপর। কাজেই তোমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তোমাদেরকে আলোকিত মানুষ হতে হবে এবং এবং এমন মানুষ হতে হবে যে, যেন লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ঋণ শোধ করতে পারো। তিনি বলেন, তোমাদের পিতামাতা তোমাদের সুরক্ষার জন্য, তোমাকে মানুষ করার জন্য যতখানি দায়িত্ব নিতেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দিন থেকে ততখানি দায়িত্ব এখন আমার। কারণ তোমরা তোমাদের সকল আপন জনকে ছেড়ে এখানে এসেছ। কাজেই তোমাদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমার। যদি এই দায়-দায়িত্ব নিতে না পারি তাহলে সেই ব্যর্থতার দায় আমার এবং ব্যর্থতার দায় যদি আসে সে দায়িত্ব এবং সে ব্যর্থতার দায় নিয়ে কি করতে হয় সেটা আমি জানি।

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আলম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা, অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, ড. মো. তানভীর ইসলাম, ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ড. মো. মেহেদী হাসান, প্রভোস্ট ড. সেলিনা আক্তার, ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ, অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, ড. শিরিন নিগার, সহকারী প্রক্টর মো. আব্দুস সালাম, যবিপ্রবির যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ড. মৌমিতা চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ এমদাদুল হক, গ্রন্থাগারিক স্বপন কুমার বিশ্বাস, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহা. আমিনুল হক, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার ম-ল প্রমুখ বক্তব্য দেন। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম সামিউল আলম। এর আগে সকাল ১০টায় জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উড়ানো, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে ওরিয়েন্টেশন ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আমন্ত্রিত শিল্পী এবং জনপ্রিয় ব্যান্ড চিরকুটের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় কনসার্ট। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর।

উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতটি অনুষদের অধীনে ২৬টি বিভাগে প্রায় ৪ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।

পছন্দের আরো পোস্ট