ড্যাফোডিলে ব্যবসা ও উদ্যোক্তা অনুষদে আন্তজার্তিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসা ও উদ্যোক্তা অনুষদের উদ্যোগে গবেষণা কাজের উপরর্ গত (২৭-২৮ মার্চ) আন্তজার্তিক সম্মেলনের আায়োজন করে। ঢাকার আশুলিয়ার ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ২৮শে মার্চ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান বলেন, এই ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কার্যক্রম আমাদের দেশের চলমান উন্নয়নের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

এই ধরনের কার্যক্রমকে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেয়া যায় কিভাবে সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তরুনদের গবেষণা কাজের মূল্যায়ন বাড়াতে হবে এবং দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের উন্নয়নে গবেষনা কার্যক্রমকে ছড়িয়ে দেয়া জরুরি বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

“ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, ম্যাক্রোইকোনমিক এপ্লিকেশন, উদ্যোক্তা নীতি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য অনুশীলন: সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক দুইদিন ব্যাপি আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে ৭টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন এবং মোট ৭৪টি গবেষণা পত্র উপস্থাপন করা হয়।

Post MIddle

গবেষণা পত্র ও এর উপস্থাপন মূল্যায়ন করে আন্তজার্তিক অতিথিবৃন্দ ও শিক্ষাবিদরা তাদের পরামর্শ প্রদান করেন। শুধু গবেষনায় নয় বরং এই কার্যক্রমকে আরো বড় পরিসরে করে কিভাবে আমাদের দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা যায়, বানিজ্যিকভাবে সফল করা যায় এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভ’মিকা রাখা যায় সে ব্যাপারে গঠনমূলক দিক নির্দেশনা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান।

তিনি বলেন, গবেষনা করাটা ঠিক যতোটা জরুরি, সে গবেষনাকে বা¯তব ব্যবহার উপযোগি করে তোলা ঠিক ততোটাই জরুরি। আমাদের দেশে এখন উদ্যোক্তার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু তাদের সমস্যা সমাধানের একটি বড় জায়গা হতে পারে আমাদের এই গবেষণা কাজগুলো। সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শাহ আজম, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব-উল হক মজুমদার, বাণিজ্য ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড.মোঃ মাসুম ইকবাল ও অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।

আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে ৩০ টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। এর আগে এই আয়োজনের প্রথম দিনের সেশনে মোট চারটি পর্বে বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় গবেষকরা তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন। আয়োজনের প্রথম পর্বে দুটি সমান্তরাল অধিবেশন পরিচালিত হয়; তাদের মধ্যে একটি পর্ব আন্তর্জাতিক গবেষকদের জন্য উৎসর্গ করা হয় যেখানে অধিবেশনের পরিচালনায় ছিলেন যথাক্রমে ডাঃ সৈয়দ শামস, ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ড, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডাঃ তানভীর আবির এবং মিসেস তানজিনা হোসেন। অন্য অধিবেশনের পরিচালক ও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডক্টর মুহাম্মদ মেহেদী মাসুদ, ইউনিভার্সিটি অব মালয়া এবং ড. আব্দুর রউফ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। দ্বিতীয় পর্বে আরও দুটি অধিবেশন চলে যেখানে ড. সালমি মোহাম্মদ ঈসা, ইউনিভার্সিটি সেন্স মালয়শিয়া এবং সাইদ ফারুখ আহমেদ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি একটি অধিবেশনের পরিচালক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এবং ড. এ কে এম মহসিন, ড. আবদুর রহমান ও ডাঃ সায়েদুল আনাম অন্য অধিবেশনে ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট