যবিপ্রবিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের যত অনুষ্ঠান

যবিপ্রবি প্রতিনিধি।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য দেশের দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই-সংগ্রামের ফলই আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। হঠাৎ কারো ঘোষণায় এদেশের স্বাধীনতা আসেনি, মুক্তি আসেনি।

আজ শনিবার দুপুরে যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকেই এ জাতিকে প্রতিটি পরতে পরতে, স্তরে স্তরে স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। সেই ঐক্যের ফল তিনি পেলেন ১৯৭০-এর নির্বাচনে। এতে তিনি জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার ম্যান্ডেট অর্জন করেন। সেই ম্যান্ডেটের আলোকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর একটি মাত্র অঙ্গুলি হেলোনে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আশা করি, তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গুলি হেলোনে এ দেশের যুব সমাজ জেগে উঠবে। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত করতে বদ্ধপরিকর থাকব।

যবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আলম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা, অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, ড. মো. তানভীর ইসলাম, ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত ও ড. মো. মেহেদী হাসান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. শওকত ইসলাম সবুজ, ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব দে শান্ত, আফিকুর রহমান অয়ন, সোহেল রানা, শিলা আক্তার প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহীন সরকার।

Post MIddle

যবিপ্রবির মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় সূর্যোদয়ক্ষণে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। সকাল ৯টায় যশোর শহরের মণিহার অবস্থিত স্বাধীনতা স্তম্ভে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সকাল ১০টায় যশোর শহরের বকুলতলায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। একইসঙ্গে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত ক্ষণগণনার ঘড়ির সঙ্গে থাকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।

বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মো. আকরামুল ইসলাম এ দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন।

রাতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মনোজ্ঞ আতশবাজি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।

পছন্দের আরো পোস্ট