ড্যাফোডিলে বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক।

জনগণকে তাঁদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আড়ম্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ ১৫ ই মার্চ বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য “ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ন্যায্যতা”।

ড্যাফোডিল লিগ্যাল রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চয়ালি উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. শফিকুজ্জামান।

Post MIddle

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. লুৎফর রহমান, প্রকৌল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম. শামসুল আলম, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ. এম. এম. হামিদুর রহমান, আইন বিভাগের শিক্ষক ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কুদরাত-ই-খুদা বাবু প্রমূখ।

আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রিয়াদুজ্জামানের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে আইন বিভাগের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আইন বিভাগের চারটি পৃথক গ্রুপ (আটজন শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত) ই-কমার্স সেক্টরে বিদ্যমান আইনি চ্যালেঞ্জ; ভোক্তা অধিকার সংক্ষণ আইন, ২০০৯-এর অধীনে ত্রুটিপূর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীগুলোর দায়বদ্ধতা; ভোক্তা অধিকার সংক্ষণ আইন, ২০০৯-এ বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া এবং ভোক্তা অধিকার সংক্ষণ আইন, ২০০৯-এর অধীনে ক্ষতির বিধান বিষয়ক পৃথক চারটি গবেষণা প্রকল্প উপস্থাপন করে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে দেশে অনলাইন ব্যবসা তথা ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স (ফেসবুক কমার্স)-এর যত প্রসার ঘটছে, ভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার অভিযোগও তত বাড়ছে। বিভিন্ন ই-কমার্স ও এফ-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায়ই নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। তাই এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি। ভোক্তা-অধিকার সুনিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকার, সুশীল সমাজ, ভোক্তা-সাধারণ, বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আশা প্রয়োজন বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। তাঁরা বলেন, ভোক্তা-অধিকার সুনিশ্চিত করতে সকল ব্যবসায়ী ও পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানী ও প্রতিষ্ঠানসমূহ অবশ্যই সৎ হতে হবে। পাশাপাশি জনগণকেও তাঁদের অধিকার বিষয়ে অধিকতর সচেতন হতে হবে। অন্যথায়, ভোক্তা-অধিকার সুনিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

পছন্দের আরো পোস্ট