বেতন নিয়ে অসন্তোষ; ইবি কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি

ইবি প্রতিনিধি-

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তাদের বেতনের নীতিমালা পরিবর্তনসহ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন কর্মকর্তারা। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত এক কর্মসূচী পালন করেছেন তারা। তিন দফার অন্য দাবিগুলো হলো চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর ও অফিস সময় পরিবর্তন করা।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে ৩৫হাজার ৫০০ ও উপ-রেজিস্ট্রার বা সমমান পদে ৫০ হাজার টাকা বেতন স্কেলের দাবি করে আসছেন কমকর্তারা। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে ২৪৭ তম সিন্ডিকেট সভায় শর্ত স্বাপেক্ষে দাবি মেনে নেয় তৎকালীন প্রশাসন। এতে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও চাকরির সময়ের উপরে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। এছাড়া কোন প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হলে এই সুবিধা সংশোধন করার কথা বলে প্রশাসন।

এতে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত অনুযায়ী এই বেতন স্কেল থেকে বঞ্চিত কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি হওয়া ২৫৪তম সিন্ডিকেট সভায় সকলের জন্য একই স্কেল নির্ধারণ করা হয়। এদিকে সম্প্রতি দেওয়া বেতন স্কেলের নীতিমালায় পদোন্নতির দুই বছর পর স্কেল কার্যকর হওয়ার বিষয় উল্লেখ আছে বলে জানান কর্মকর্তারা। ফলে এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কর্মকর্তারা।

Post MIddle

গত মঙ্গলবার এবিষয়ে সাধারণ সভা করে ভিসির বাসভবনে গিয়ে তিন দফা দাবি পেশ করে বিশ^বিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদ। এসময় বেতনের নীতিমালা পরিবর্তন, চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর করা ও কর্মঘন্টা পরিবর্তনের দাবি জানান কর্মকর্তারা।

এসময় উপাচার্য আবারো একটি কমিটি গঠন করে সমাধানের কথা বললে হট্টোগোল শুরু করে কর্মকর্তারা। হট্টোগোল থামাতে প্রক্টর কথা বললে সমিতির নেতাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে নীতিমালা ও কমিটিকে প্রত্যাক্ষাণ করে বাসভন থেকে চলে যান কর্মকর্তারা।

একই দাবিতে শনিবার আবারো কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করেন তারা। এবিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, “আমরা আমাদের দাবি বাস্তবায়নে আজকে ১ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেছি। আগামীকাল ২ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করবো। এর পরেও দাবি না মেনে নিলে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করবো।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, “কর্মকর্তাদের দাবির ন্যায্যতা থাকলে প্রয়োজনে এই সিন্ধান্ত স্থগিত রেখে নতুন কমিটি গঠন করবো। তাদের দাবি আইনগতভাবে নায্য হলে তা মেনে নেওয়া হবে।”

পছন্দের আরো পোস্ট