খুবির ১৭ ব্যাচের শিক্ষাসমাপনী

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের তিনদিনব্যাপী শিক্ষাসমাপনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন আজ ১০ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

Post MIddle
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের জন্য শিক্ষাজীবন গুরুত্বপূর্ণ। এসময় দৈহিক বৃদ্ধি সাধনের পাশাপাশি মানসিক বিকাশও সাধিত হয়। মানুষের সৃজনশীলতা ও গুণাবলীর বিকাশ ঘটায়। শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। তিনি বলেন, অনেকে শিক্ষাজীবনে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তারা মনে করে এই সাবজেক্ট পড়ে কি হবে? কিন্তু এখানে শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে চাকরি মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়। মেধা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে উদ্ভাবন ও নিজে উদ্যোক্তা হতে পারলে চাকরি করার পরিবর্তে চাকরি দেওয়া সম্ভব।
তিনি ছাত্রজীবনের গুরুত্ব ও অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ দেশে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তাদের হাত ধরে আমাদের অনেক অর্জন এসেছে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবনের সাফল্যই একজন শিক্ষকের সবচেয়ে বড় প্রশান্তি ও প্রাপ্তির বিষয়। তাঁরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হলে, তাদের সুকৃতি শিক্ষক ও সেই প্রতিষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে আনন্দের হয়। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের পেশাগত জীবনে জ্ঞান ও দক্ষতার প্রমাণ রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন। সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী নিলয় কুমার সরকার এবং স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন অর্ণব। অনুষ্ঠানে ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হাতে স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন উপাচার্য ও অতিথিবৃন্দ। পরে শিক্ষাসমাপনী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘সত্যম’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অতিথিদের স্মারক ক্রেস্ট উপহার প্রদান করা হয়।
পছন্দের আরো পোস্ট